প্রতিবেদন : নদীপথে ভ্রমণ, ক্রুজ, ওয়াটার স্পোর্টসের মতো বিভিন্ন জলাশয়-নির্ভর বিনোদনের প্রসার ঘটিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই ধরনের পর্যটন-পরিকাঠামো তৈরির জন্য পর্যটন দফতর বিভিন্ন জেলায় ২০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমিকে চিহ্নিত করেছে। রাজ্যের পর্যটনসচিব সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন, যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে জলাশয়-নির্ভর পর্যটনে যথেষ্ট গতি আসেনি। এ-প্রসঙ্গে তিনি কাশ্মীরের ডাল ও উলার লেককে কেন্দ্র করে বিরাট পর্যটন ব্যবসার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন-অডিওটেপ প্রকাশ্যে, প্রার্থী পিছু ২.৫০ লাখ করে ঘুষ, টাকা নিয়ে ১৭ চাকরি! ফাঁপড়ে বিজেপি বিধায়ক
পর্যটন সচিব জানান, রাজ্যেও নদী ও জলাশয়কে কেন্দ্র করে পর্যটন পরিকাঠামো তৈরি করতে রাজ্য সরকার আগ্রহী। বেসরকারি সংস্থাগুলির আগ্রহপত্র চেয়েছি। এই কাজে রাজ্য সরকার তাদের সবরকম সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে। এপ্রিলের ১০ থেকে ১২ তারিখ— দিল্লির প্রগতি ময়দানে তিন দিনের প্রথম ‘গ্লোবাল ট্যুরিজম ইনভেস্টর সামিট’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর লক্ষ্য জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে ভারতে বিদেশি পর্যটক ও লগ্নিকারীদের উৎসাহিত করা। এ-রাজ্যও ওই সম্মেলনে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য, ঘোষণা অমর্ত্যর
সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘গোটা ভারতে যা রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও তা রয়েছে। নদী, পর্বত, জঙ্গল থেকে সি-বিচ— পর্যটকেদের আকর্ষণ করার মতো রাজ্যে সবকিছুই রয়েছে। রয়েছে পর্যটনের উপযোগী পরিকাঠামোও।’
এ-প্রসঙ্গে তিনি সুন্দরবন, দার্জিলিং, ডুয়ার্স, দিঘা, মন্দারমণির কথা উল্লেখ করেন। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় স্থানও। উত্তরবঙ্গে চা-বাগানকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘চা-বাগানের অব্যবহৃত জমিকে পর্যটনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। হোম স্টে-র জনপ্রিয়তা দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে আরও হোম স্টে গড়ে তোলার প্রয়োজন হবে। রাজ্যে এখন ২ হাজারের মতো রেজিস্ট্রিকৃত হোম স্টে রয়েছে। এর বাইরেও অনেক হোম স্টে রয়েছে, যা নথিভুক্ত করা হয়নি।’ পর্যটনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকারের বিশেষ ‘ইনসেনটিভ’-এর কথা উল্লেখ করেন তিনি।