প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের বৈঠকের পরেও অনশন আন্দোলনে অনড় চিকিৎসকরা। বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) জানান, জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০টির সাত দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ দাবিতে কোনওভাবেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সরকার বিবেচনা করবে সব দিক ভেবেচিন্তে। সরকার পুরো পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল। তাঁর কথায়, সরকার ইচিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা এবার অনশন প্রত্যাহার করুন। ফের একবার তিনি অনুরোধ জানান রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু ডাক্তাররা অনড়ই থাকলেন।
আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে চিকিৎসক সমাজের আন্দোলনের মধ্যেই অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসেন। চিকিৎসকরা জানান, এদিনের বৈঠকে তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের তরফে শুধু মৌখিক আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। লিখিত প্রতিশ্রুতি পাননি। তাই তাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার আর্জিও মানছেন না।
আরও পড়ুন- দেশের সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। কী কী কাজ হয়েছে। কবে কাজ শেষ হবে? আমরা পরিষ্কার বলেছি। তবে কোনও টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। এটা পরিস্থিতি বুঝে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে সিস্টেমিক চেঞ্জেসগুলো করা হচ্ছে। আমরা চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাই ওঁরা অনশন তুলে নিন এবং কাজে ফিরে আসুন। অনুরোধ করব, অনশন প্রত্যাহার করার জন্য।
এদিকে আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রতি অনাস্থার বার্তা দিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন রাজভবন অভিযান করেন। রাজভবনের সামনে ব্যারিকেড করে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। এদিকে ধর্মতলায় অনশন আন্দোলনের দশম দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। শিলিগুড়িতে অনশনে বসেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের আগাইকালের প্রস্তাবিত ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ প্রত্যাহার করার জন্য রাজ্য সরকারের আবেদন তাঁরা খারিজ করে দিয়েছেন।