মুস্তাফিজের দাপটে চেন্নাই দুর্গ অক্ষত

আরসিবি ১৭৩/৬ (২০ ওভার) সিএসকে ১৭৬/৪ (১৮.৪ ওভার)

Must read

চেন্নাই: ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম বদলে ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্যে নতুন মরশুমের আইপিএলে অভিযান শুরু করেছিল রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (CSK-RCB)। কিন্তু চিপকে চেন্নাই দুর্গে এবারও জয় অধরা আরসিবি-র। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে চেন্নাইয়ে গিয়ে চেন্নাইকে হারিয়েছিল তারা। সেই শুরু এবং সেই শেষ। পরের ১৬ বছরে সেই একই স্ক্রিপ্ট। যে ভঙ্গিমায় গতবছর টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস, সেই একই মেজাজে সেখান থেকেই নতুন মরশুম শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। আইপিএলের ১৭তম সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচে বিরাট কোহলিদের আরসিবি-কে ৬ উইকেটে হারাল সিএসকে (CSK-RCB)।
চিপকে স্পিন সহায়ক পিচের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এদিন তেমন কিছুই ছিল না। ব্যাটিং পিচে ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিএসকে। আইপিএলে অভিষেক হওয়া রাচিন রবীন্দ্রকে (৩৭) সঙ্গে নিয়ে ভাল শুরু করেন সিএসকে-র নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (১৫)। দু’জনে ফেরার পর আজিঙ্ক রাহানে ও ড্যারিল মিচেল চেষ্টা করেন। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ফিনিশ করেন শিবম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা। বিশ্বকাপের ট্রায়ালে প্রথম ম্যাচেই ফুল মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ শিবম (২৮ বলে ৩৪)। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ২৫ রানে। তবে হলুদ জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা মুস্তাফিজুর রহমান।

মেগা দ্বৈরথে নজর ছিল দুই মহাতারকার দিকে। বিরাটের প্রত্যাবর্তন ও নেতৃত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া ধোনির নতুন ভূমিকা। নেতৃত্বের তাজ খুলে রাখলেও ৪২-এর ধোনিই আসল ‘নেতা’ সিএসকে-র। নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজকে গাইড করা থেকে বোলিং, ফিল্ডিং পরিবর্তন, সব কিছুতেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর ইনপুট। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে সেই একই ক্ষিপ্রতায় রান আউট করলেন, ক্যাচ নিলেন। অন্যদিকে, আশা জাগিয়েও কামব্যাক ম্যাচে বড় রান পাননি বিরাট। তবে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে ১২ হাজার রানের মাইলফলক গড়লেন।

আরও পড়ুন- মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা ইসলামিক স্টেটের! মৃত ৬০

ক্রিকেট থেকে এতদিন দূরে থাকা বিরাটের ব্যাট শান্ত ছিল শুরুতে। বরং তাঁর ওপেনিং সঙ্গী অধিনায়ক ডুপ্লেসি ঝড়ের গতিতে শুরু করেন। দীপক চাহারের এক ওভারে চারটি বাউন্ডারি মারেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। চেন্নাইকে ব্রেক থ্রু দেন মুস্তাফিজুর। নিজের প্রথম ওভারেই ডুপ্লেসি (২৩ বলে ৩৫) ও রজত পাতিদারকে (০) ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার। ডুপ্লেসির অনবদ্য ক্যাচ নেন রাচিন। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে আরসিবি-কে আরও চাপে ফেলে দেন দীপক চাহার। এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। মহিষ থিকসানাকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান। কিন্তু বিরাটের কামব্যাক ইনিংস (২০ বলে ২১) বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মুস্তাফিজ ফের আক্রমণে আসতেই ছন্দপতন।
এরপর গ্রিনকেও (১৮) আউট করেন মুস্তাফিজ। ৭৮-৫ থেকে আরসিবি যে শেষ পর্যন্ত ১৭৩-৬ করতে পারল, তারজন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তরুণ অনুজ রাওয়াত এবং অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিকের। দু’জনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৯৫ রান। সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন অনুজ। ১৯ বছরের উত্তরাখণ্ডের ক্রিকেটার মাত্র ২৫ বলে ৪৮ রান করেন। মুস্তাফিজ চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে দলকে ভরসা দিলেন।

Latest article