বিশেষ সংবাদদাতা, লন্ডন: পরিবার-পরিজন থেকে মাতৃভূমির শিকড়ের টান। প্রবাসের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ রাখতে অনাবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপন বাংলা পোর্টালকে (Apon Bangla portal) তুলে ধরা হল লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিকেন্দ্রিক এক অনুষ্ঠানে। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ তথ্য দিয়ে সেখানে বোঝালেন এই পোর্টালের কার্যকারিতা। ব্যাখ্যা শোনার পর কৌতূহল পৌঁছেছে সর্বোচ্চ সীমায়। প্রবাসীদের জন্য বাংলার সরকারের এই উদ্যোগকে সকলেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন একবাক্যে। কুণালের আবেদন, দেরি না করে পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করুন। একটি কার্ড করে নিন। কার্ড হলে পোর্টাল মারফত বাংলায় থাকা বাবা-মা বা আত্মীয়-পরিজনের যেকোনও আপদে-বিপদে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সরাসরি পাশে দাঁড়াতে পারবেন। পারবেন সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে। এমনকী ব্যবসা করতে চাইলে কিংবা ট্যাক্স জমাও এই পোর্টাল মারফত দেওয়া যাবে।
বিশ্বে বাঙালিদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি আপন বাংলা পোর্টাল (Apon Bangla portal) ঘিরে লন্ডনে প্রবাসীদের উৎসাহ-কৌতূহল উপচে পড়ল। ব্যাখ্যা করার পর রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে ঘিরে আরও খুঁটিনাটি পরিষেবার বিষয় বুঝতে চাইলেন তাঁরা। কুণাল জানালেন, এই কার্ড মূলত প্রবাসী ভারতীয় তথা বাঙালিদের আলাদা পরিচয়পত্র। কার্ড থাকলে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন ও কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ ও চলচ্চিত্র উৎসব দেখার সুযোগ করে দেবে। ওয়েসাইটের ঠিকানা : aponbangla.wb.gov.in। জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি পরিষেবা পেতে প্রবাসী এবং তাঁদের পরিজনরা যে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতেন, এবার আপন বাংলা সদস্যদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। দ্রুত হবে সমাধান। প্রশাসনিক দক্ষতা ও দ্রুততার তথ্য তুলে ধলে প্রবাসীদের কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যসচিবের নেতৃত্ব উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। এই কমিটি পোর্টালের পরিষেবা সরাসরি দেখে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলার নাগরিকদের জন্য সরকারি পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের চাহিদা-কল্যাণ ও স্বার্থ পূরণে সহায়তা করছে আপন বাংলা। কুণাল নির্দিষ্টভাবে প্রবাসীদের বলেন, বিদেশে বসবাসের কারণে দূরত্ব একটি বড় সমস্যা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে। প্রক্রিয়াগত বিলম্ব হত স্বাভাবিক কারণেই। পোর্টাল সেই সময় কমিয়ে দিচ্ছে। দু’বছর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাদিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রবাসীদের জন্য আপন বাংলা পোর্টাল চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাসপোর্ট নম্বর ও পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানা যুক্ত করে পোর্টালে গিয়ে কীভাবে আপন বাংলা কার্ড তৈরি করতে হবে তাও কয়েকজনকে হাতে-কলমে দেখিয়ে দেন প্রাক্তন সাংসদ। প্রবাসীদের বলেন, এই কার্ড করা মানেই একসঙ্গে ৪০টি সরকারি বিভাগের ৩২৩টি পরিষেবা দিতে তৈরি থাকবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু তাই নয়, অনাবাসীরা যেকোনও অভিযোগ পোর্টাল মারফত জানাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই অভিযোগের সমস্যার সমাধান করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
আপন বাংলা পোর্টালের কার্যকারিতা জানার পর প্রবাসীরা সকলেই অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন-কলকাতা চলুন, পাশে রয়েছে সরকার, প্রবাসীদের ডাক বাবুলের