ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে বাংলায় ২৪ থেকে ২৬ দুর্যোগের সম্ভাবনা

Must read

প্রতিবেদন : কালীপুজোর আগেই রাজ্যে তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা (Cyclone Dana)। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই সাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা অতি-গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মায়ানমার যেকোনও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাতেও ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হবে। হাওয়া অফিসের তরফে মৎস্যজীবীদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আন্তজার্তিক আবহাওয়ার মডেলগুলির তথ্য অনুযায়ী, রবিবার আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মঙ্গলবার সেই সিস্টেম নিম্নচাপে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। কাতারের দেওয়া ‘ডানা’ নাম নিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যের যেকোনও উপকূলে। গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে। ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার বেলার দিক থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে রাজ্যের দক্ষিণে। বেশি প্রভাব পড়বে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যের দক্ষিণে রবিবার থেকে পুরোপুরি শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে। বুধবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা-মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতাতেও রবিবার থেকে দিনভর শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত থাকবে না বললেই চলে।

আরও পড়ুন- আন্দোলনকারীদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ কোটি টাকা!

Latest article