সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় সতর্ক রাজ্য সরকার। সোমবার ভারতীয় মৌসম ভবনের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী ১০ ও ১১ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলাদেশের ওপর আছড়ে পড়বে। এর ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওই দু’দিন উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সবরকম ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে সচেষ্ট জেলা প্রশাসন। আগে থেকেই নবান্নের নির্দেশ পেয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে রেখেছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সোমবার বিকেলে জেলার পাঁচটি মহকুমা ও ব্লকে সতর্কতার নির্দেশ এসেছে। ইতিমধ্যে সোমবার থেকে জেলায় পাঁচটি মহকুমা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মহড়া দিয়েছেন কাকদ্বীপ ও সাগরে। বিপর্যয় মোকাবিলার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত আছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এছাড়া প্রয়োজন হলে এনডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনীকে ডাকা হবে। প্রতিটি ব্লকে ত্রাণ, পানীয় জল মজুত করা হয়েছে। সেচ, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আগামী এক সপ্তাহ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিপর্যয় আছড়ে পড়লে দ্রুত মেরামতির কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখতে বলা হয়েছে সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরকে। সোমবার সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী সাগরের বঙ্কিমনগর এলাকায় নদীবাঁধ মেরামতির কাজ ঘুরে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিক ও বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। এই এলাকায় হাজার মিটারের বেশি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এদিন সেই এলাকা ঘুরে দেখে কাজের অগ্রগতি দেখেন। মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির ওপর প্রশাসনিক আধিকারিকরা সর্বক্ষণ নজর রাখছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবকিছু তৈরি রাখা হয়েছে। সেচ দফতর ও বিদ্যুৎ দফতরকে বিশেষভাবে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য