প্রতিবেদন : উৎসবে বিপর্যয়ের আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গেল। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর পরিষ্কার জানিয়েছে, সিত্রাং-এর অভিমুখ বাংলাদেশে (Sitrang- Barisal) এবং তা আছড়ে পড়বে বরিশালের কাছে। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে কিছুটা প্রভাব পড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। তবে এর সঙ্গে ভরা কোটালের কারণে বাড়তি নজরদারির কথা জানিয়ে, সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। প্রশাসনের তরফেও সতর্কতায় ঢিলে দেওয়া হচ্ছে না। নবান্ন থেকে জেলাগুলিকে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। ঝড় তীব্র না হলেও ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এবং ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস থাকছে উপকূলের জেলায়। কোটালের ফলে সমুদ্রও থাকবে উত্তাল। সে কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে এবং জেলা স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজরদারির জন্য মোতায়েন থাকছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়সাধনের কাজ করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মানুষজন
এদিন দুপুরে দেওয়া বুলেটিনে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ছয় ঘণ্টা ধরে অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘণ্টায় ২০ কিমি করে এগিয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এর অবস্থান ছিল পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৬৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে, সাগর থেকে ৬৭০ কিমি দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৮২০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় অতি গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। এরপর তা বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হবে এবং ২৫ অক্টোবর ভোরের দিকে তা বরিশালের (Sitrang- Barisal) কাছে তিনকোনা ও সন্দীপ অতিক্রম করবে। ২৪ অক্টোবর অতি গভীর নিম্নচাপটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। সেই সময় তার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৫-৯৫ কিমি। আর ২৫ অক্টোবর ভোরে এর বেগ বেড়ে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি হতে পারে। তবে ২৫ অক্টোবরেই তার বেগ কমে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিমি হবে এবং অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ২৪ অক্টোবর। আর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর এবং সংলগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের অংশে।
এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি বেগে ঝড়ের মুখে পড়তে পারে। ঝড়ের প্রভাব থেকে বাদ যাবে না পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরও। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলের দিক থেকে ঝড় কমতে থাকবে।