সুমন করাতি, সিঙ্গুর: বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের পাশে পুরুষোত্তমপুর এলাকায় রয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ বছরের প্রাচীন ডাকাত কালীমন্দির (Dakat Kali Temple in Singur)। কথিত, অসুস্থ রামকৃষ্ণকে দেখতে মা সারদা কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে রঘু ও গগন ডাকাত তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে। তাঁকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দেখা দেন রক্তচক্ষু মা কালী। ভুল বুঝতে পেরে মা সারদার কাছে ক্ষমা চায় তারা। রাতে তাদের আস্থানায় মা সারদাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। মাকে রাতে খেতে দেয় চালকড়াই ভাজা। পরের দিন সকালে মা সারদাকে দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছে দিয়ে ডাকাতি ছেড়ে দেয় তারা৷ সেই থেকে কালীপুজোর দিনে মায়ের প্রথম নৈবেদ্য হিসাবে চালকড়াই ভাজা। এছাড়াও লুচি ভোগ, ফল দেওয়া হয়। কালীপুজোর দিন চার প্রহরে চারবার পুজো, ছাগবলি হয়। সরস্বতী নদীর পাশে জনমানবশূন্য জঙ্গলে মাটির কুঁড়েঘর বানিয়ে ঘটপুজো করত ডাকাতরা (Dakat Kali Temple in Singur)। আগে নরবলি হত। পরে বর্ধমানের রাজার দান করা জমিতে সিঙ্গুর চালকে পার্টির গ্রামের মোড়লরা এই মন্দিরটি তৈরি করে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে। পুরুষোত্তমপুরে ডাকাত কালীমন্দির থাকায় মল্লিকপুর, জামিনবেড়িয়া গ্রামে হয় না কালীপুজো। বছরে একবার কালীপুজোর দিন শূদ্রদের আনা গঙ্গাজল ভরা হয় ঘটে।