এর মধ্যেই অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেল আদিত্যনাথের রাজ্যে। যদিও নারী সুরক্ষায় যোগীরাজ্য যে ঠিক কতটা ব্যর্থ সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। বারাণসী এবং কাসগঞ্জের গণধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শেষ হয় নি তার মধ্যেই আবার ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলাতে বুধবার সকালে এগারো বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে মাঠ থেকে নগ্ন এবং অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন-শীর্ষ আদালতে স্বস্তি, ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি করলেও পাওয়া যায় নি। বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি মাঠের মধ্যে কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এখানেই শেষ হয়, নির্মম ব্যবহার করা হয়েছে কিশোরীর সঙ্গে। মুখে ভারী এবং ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় তাই মুখে গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই কিশোরীকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেরঠে স্থানান্তরিত করা হয়। পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করে পুলিশ। তবে পুলিশ জানতো না যুবকের কাছে বন্দুক আছে। তাই তাকে গ্রেফতার করতে গেলে ওই যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পাল্টা পুলিশের গুলি পায়ে লাগে অভিযুক্তের। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মেরঠ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এটি নিঃসন্দেহে ভয়াবহ একটি ধর্ষণের ঘটনা। কিশোরীর যৌনাঙ্গের আঘাত থেকে অনুমান করা হচ্ছে একাধিক লোক এই ঘটনায় জড়িত। কিশোরীর মুখে ভোঁতা জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাই মুখ ফুলে গিয়েছে। এই মুহূর্তে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে কিশোরী। কিশোরীর মা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন মেয়েটি কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। এমন এক নাবালিকার সঙ্গে এহেন ঘৃণ্য আচরণে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) জানিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh) আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজ্য পুলিশের দায়ের করা দেওয়ানি মামলায় এফআইআর দেখার পর প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ জানায় রোজ রোজ দেওয়ানি মামলাগুলিকে ফৌজদারি মামলায় পরিণত করা হচ্ছে।