আরজি কর ঘটনা নিয়ে যখন নিয়ে দেশ জুড়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক মহল সেই সময় দেখা যাচ্ছে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় কোনও লাগাম নেই যোগীরাজ্যে। এবার উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) মোরাদাবাদে (Moradabad) ২০ বছর বয়সী নার্সকে বন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তাকে সাহায্য করেছিল ওই হাসপাতালের এক নার্স এবং ওয়ার্ডবয়। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ অগস্ট এবং ১৮ অগস্টের মধ্যবর্তী রাতে। সেদিন হাসপাতালে নাইট ডিউটি করছিলেন নির্যাতিতা নার্স। জানা গিয়েছে, ১৭ অগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় এই নার্স হাসপাতালে আসেন। রাত বাড়লে মেহনাজ নামে হাসপাতালের আরেক নার্স তাঁকে ডা. শাহনওয়াজ নামে এক ডাক্তারের ঘরে যেতে বলেন। যদিও সেই সময় তিনি ডাক্তারের ঘরে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। এরপরেই মেহনাজ এবং জুনায়েদ নামে এক ওয়ার্ড বয় তাঁকে একপ্রকার জোর করে হাসপাতালের উপরের তলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘরে বন্দি করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর, ডাক্তার শাহনওয়াজ ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে ওই নার্সকে ধর্ষণ করেন বলেই অভিযোগ করেন নার্সের বাবা। শুধু তাই নয়, দলিত বলে রীতিমত অপমানের সম্মুখীন হতে হয় এদিন রাতে তাঁকে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী
তিনি জানান ঘটনার পর মেয়েটি নীচে নেমে এসে সকালের শিফটে নার্সকে ঘটনাটি জানান। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদেরও ঘটনাটি জানান। তাঁর বাবা মোরাদাবাদ থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ করা হয় অভিযুক্ত ডাক্তারের তরফে তাঁর মেয়েকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং এসসি/এসটি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে মোরাদাবাদ পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্বাগত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস, ধর্ষণ ও খুন দেশের সমস্যা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, ঠাকুরদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে পরিবারের তরফে। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা মহিলার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। নির্যাতিতা নার্সের বাবা জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে। দশ মাস আগে ওই হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে কোনও বেতন তিনি পেতেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে শুধুমাত্র যাতায়াতের খরচ দিত।