প্রতিবেদন: ফের যোগীরাজ্যে দলিত নিগ্রহ। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দলিত অধ্যাপিকাকে (Dalit Professor) মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল চারজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন দুই সহকারী অধ্যাপক ও দুই ছাত্র। নিগৃহীত ওই দলিত অধ্যাপিকার অভিযোগ, গত ২২ মে তাঁকে নিগ্রহ করার পর থানায় অভিযোগ জানালেও ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ কোনওরকম মামলা দায়ের করতে অস্বীকার করে। এনিয়ে লাগাতার অভিযোগ জানানোর পর শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বিজেপি রাজ্যের পুলিশের সাফাই, প্রাথমিক তদন্তের পর দুই সহকারী অধ্যাপক-সহ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী একজন সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার। অধ্যাপিকার (Dalit Professor ) অভিযোগ, তাঁর বিভাগের দুই সহকর্মী এবং দুই ছাত্র, নিয়মিতভাবে তাঁকে বিবস্ত্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরানোর হুমকি দিত। ওই দলিত অধ্যাপিকা পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, গত ২২ মে দুপুর ২টোর দিকে অভিযুক্তদের একজন আমার চেম্বারে এসে আমাকে আমার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি আমার চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলে বাকিরা আমার বিভাগের দরজা বন্ধ করে দেয়। এদের একজন আমাকে ধরে আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়, আমার শ্লীলতাহানি করে, অন্যরা আমাকে লাথি ও ঘুসি মারে। এবং এই গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে আর একজন। আমার চিৎকার শুনে কয়েকজন এসে আমায় উদ্ধার করে। আমার অভিযোগের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশকে দিয়েছি। বুধবার, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নিগৃহীত অধ্যাপিকা বলেন, আমি দলিত বলে আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে। বিভাগে কাউকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে অস্বীকার করায় আমার সঙ্গে এসব করা হচ্ছে। তারা আমার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল তবে আমি তাদের মাথা নত করিনি। এরফলেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি থানায় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি শিক্ষামন্ত্রক, এসসি-এসটি কমিশনে চিঠি দেওয়ার পরেই এফআইআর লিপিবদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারে প্রবীণরাও বার্ধক্যভাতার আবেদন করতে পারবেন