কোটালে ভাঙল বাঁধ

সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিস্থিতির ওপর নজর আছে। দুর্গতদের স্থানীয় স্কুলে তুলে আনার জন্য সব ব্যবস্থা করা আছে।’’‌‌

Must read

সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ :‌ দমকা বাতাস আর পূর্ণিমার কোটালের জলোচ্ছ্বাসের জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার একাধিক বাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে চাষের জমি, পুকুর ও সবজির খেত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর ব্লক। এই ব্লকের চারটি পয়েন্ট দিয়ে নদী ও সমুদ্রের জল ঢুকছে লোকালয়ে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষামারি এলাকা। এখানে বঙ্গোপসাগর ও হুগলি নদীর মোহানায় ২০০ মিটার মাটির বাঁধ পুরোপুরি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-অর্থনীতিকে স্বচ্ছ ও মজবুত করতে গঠিত বিশেষ সেল

নোনা জল ঢুকেছে বাঁধের কাছাকাছি থাকা দশটি বাড়িতে। এছাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এই ব্লকের মুড়িগঙ্গা-‌১ ও মুড়িগঙ্গা-‌২ পঞ্চায়েতের চকফুলডুবিতে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বোটখালিতে বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে। জল ঢুকছে কচুবেড়িয়াতেও। মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় এখানে জল ঢুকছে। নামখানা ব্লকের বুধাখালি পঞ্চায়েতের সাউপাড়া ও রাজনগর এলাকার বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। মাটির বাঁধ দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সোমবার রাতের জোয়ারে জলস্তর আরও বাড়বে। এদিন সন্ধে থেকে আকাশ মেঘে ছেয়ে গিয়েছে। সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে।

আরও পড়ুন-প্রতিহিংসার রাজনীতি আবারও কেন্দ্রীয় সংস্থা

উপকূলে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে বাতাস বইছে। যার জেরে জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতি হবে বাঁধের। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন। মহিষামারির বাসিন্দাদের স্থানীয় স্কুলে তুলে আনা হতে পারে। ভাঙন এলাকায় মেরামতির জন্য সেচ দফতর উদ্যোগ শুরু করেছে। কিন্তু আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিস্থিতির ওপর নজর আছে। দুর্গতদের স্থানীয় স্কুলে তুলে আনার জন্য সব ব্যবস্থা করা আছে।’’‌‌

Latest article