সংবাদদাতা, কাটোয়া : টানা তাপপ্রবাহের পর কালবৈশাখী। তার পিছু পিছু ঝড়বৃষ্টি। আর তাতেই শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের বোরো চাষের প্রভূত সর্বনাশ। তবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির ফলে আনাজপাতি আর আম-লিচুর পৌষমাস। শুরু হয়েছে পাট চাষও। বোরো ধান ওঠার মুখে সমূহ ক্ষতিতে কপাল চাপড়াচ্ছেন কৃষকরা। কাটোয়া মহকুমার ৫ ব্লকে এবার ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ফের সরকারি সম্পত্তি বেচতে নেমেছে কেন্দ্র
কালবৈশাখীর ঝড় পাকা ধানে মই দিল বলে আক্ষেপ কৃষকদের। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কেতুগ্রামের ২টি ব্লকের বেড়ুগ্রাম, আমগোড়িয়া, নলিয়াপুর, সীতাহাটি, শাঁখাই, শিলুড়ি, কেঁওগুড়ি প্রভৃতি এলাকার। মাঠে মাঠে বোরো ধান শুয়ে পড়েছে। কেতুগ্রামে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। ২৫ শতাংশ জমির বোরো ধান কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে এই ঝড়বৃষ্টিতে মাঠের আনাজপাতি নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। উৎপাদনও বাড়বে বলে জানান চাষিরা। তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গিয়েছিল আম-লিচুর ডাল। বৃষ্টি পেয়ে বোঁটা শক্ত হয়েছে। উৎপাদনও বাড়বে।
আরও পড়ুন-মহিলা ও বিদেশি সাংবাদিকদের ছাড়তে হবে বাংলো, কেন্দ্রের নির্দেশ
বিকল্প চাষ হিসাবে পূর্বস্থলীর দুটি ব্লকের বহু ধানজমিতে আম, লিচু, পেয়ারার বাগান হয়েছে। অন্তত ২০ প্রজাতির আমের ফলন হয়। প্রচুর আম ভিনরাজ্যে যায়। কৃষি দফতরের খবর, ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় গাছের আমগুলির বোঁটা শক্ত হবে। বৃষ্টির অভাবে পাট বুনতে পারেননি বহু কৃষক। চড়া দরে জল কিনে পাটের চারা বাঁচাতে হচ্ছিল। বৃষ্টির ফলে পাটচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘তিনদিন কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বোরো ধান ছাড়া সব ফসলেরই উপকার হবে।’’ কাটোয়ার মহকুমা শাসক জামিল ফতিমা জেবা জানান, ‘‘বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে। রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’