প্রতিবেদন : এক হাতে ধারালো অস্ত্র, অন্যহাতে মহিলার কাটা মুন্ডু! সাতসকালে বাসন্তীর রাস্তায় এক ব্যক্তির এহেন হাড়হিম করা রূপ দেখে চোখ কপালে স্থানীয়দের। ওইভাবেই কাটা মুন্ডু হাতে রক্তাক্ত বস্ত্র পরনে হাঁটতে হাঁটতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল ওই ব্যক্তি। নিজের বউদিকে খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। শনিবার সকালে বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের মানসিক ভারসাম্য নিয়েও ধন্দে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ফুঁসছে তিস্তা, দুর্যোগে বিপর্যস্ত সিকিমে আরও বিপদের শঙ্কা
জানা গিয়েছে, মৃত সতী মণ্ডল ও অভিযুক্ত বিমল মণ্ডল সম্পর্কে বউদি-দেওর। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল পারিবারিক বিবাদ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পাশাপাশি জমিতে বাড়ি দুই পরিবারের। আমবাগানে আম পাড়া নিয়েই বচসা। শনিবার সকালে সেই বচসা চরমে পৌঁছয়। যার জেরে একসময় বউদি সতীকে গলা কেটে খুন করে বিমল। তারপর কাটা মুন্ডু নিয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছয়। পথচারীরা অনেকেই এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন। কিন্তু তাতে অভিযুক্ত বিমলের কোনও ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতার ছেলে শুভদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে আম পাড়া নিয়ে মায়ের ঝামেলা চলছিল। আমাদের গাছের আম আমরা পাই না, মা সেটাই বলতে গিয়েছিল। ঝামেলা থামাতে আমিই কাকাকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাকাই এমন নৃশংসভাবে মা-কে খুন করবে, কে জানত! শুভদীপের দাবি, আমি চাই কাকার যাবজ্জীবন জেল হোক। শুধু কাকা নয়, কাকিমা আর তার ছেলেরও জেল হোক।