আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। পুজোর মরশুমে বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত দার্জিলিং। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। বৃষ্টির জেরে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রিম্বিক-দার্জিলিংয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দার্জিলিংয়ে কোনও পর্যটক আটকে নেই। সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। অনেক স্কুল যদিও বন্ধ রয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন-হেমতাবাদে ৫০০ বছর ধরে দেবী পূজিতা হন চণ্ডীরূপে
জানা যাচ্ছে ধসের জেরে রঘুবীর রাই (৭৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি দার্জিলিং থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের বুজুওয়া গ্রামে। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি এবং হঠাৎ ধস নামার ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গরমে পুড়ছিল দার্জিলিং। সেপ্টেম্বর মাসে তাপমাত্রা ছিল ৪০ এর কাছাকাছি। এবার বৃষ্টি হতেই ধসের ফলে ফের একবার সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। অবিরাম বৃষ্টিতে ভূমিধসের ফলে বেশ কয়েকটি রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে অনেক বাড়িঘরও ধসে পড়েছে। ভূমিধসে পাহাড়ের প্রায় ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে খবর , পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০টি রাস্তা ভূমিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানায় যে চার দিনে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং শিলিগুড়িতে বিপুল পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। দার্জিলিংয়ে ৫৩৮.২০ মিমি বৃষ্টিপাত হলেও অন্য দুটি শহরে যথাক্রমে ৩৬৮.২০ মিমি এবং ৪০৬.৯০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জানা গিয়েছে, কালিম্পং-এ প্রবল বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম। বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল NH10-এ কারণ সেখানে একাধিক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে।