প্রতিবেদন : মহামারি আতঙ্ক, বৃষ্টির চোখ রাঙানি। সবমিলিয়ে ভালোয়-মন্দে আরও একটু দুর্গাপুজো কাটিয়ে ফেললো বাঙালি। নিশি ফুরালেই বিজয়া দশমী। ঘরের মেয়েকে এবার বিদায় জানানোর পালা। ক্ষণিকের জন্য বিষাদে ডুববে বাঙালি। আবেগ ঘন মুহূর্তেও সতর্ক প্রশাসন। দেবী দুর্গার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সজাক দৃষ্টি প্রশাসনের।
কলকাতা শহরের গঙ্গা ঘাটগুলিতে শয়ে শয়ে প্রতিমা বিসর্জনের রীতি রয়েছে। যাতে নিরঞ্জনের এই রীতি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন : লখিমপুর কাণ্ডে জামিন অধরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের
পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় বাবুঘাট সংলগ্ন জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। এবছর তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন রাখা থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। করোনার দ্বিতীয় বর্ষেও সকল বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে। গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয়, তার দিকেও নজর রাখা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন অনুসারে প্রতিমার গায়ের ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী নদীর জলছবি ফেলা যাবে না। বিসর্জনের আগে গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। এই উদ্যোগের কারণে কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পুলিশ এবং পরিকাঠামো থাকবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে।
দশমীর দিন মূলত বেশিরভাগ বিসর্জন হবে বাড়ির প্রতিমাই। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।