চাদর নিয়ে মিথ্যাচার, ব্যাখ্যা দিলেন পুলিশকর্তা

Must read

প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে (R G Kar) ডাক্তারি পড়ুয়ার গায়ে সবুজ রঙের চাদরের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। বিতর্ক উড়িয়ে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ফলে চাদর বদলে ফেলা হয়েছিল বলে যে অপপ্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পরিবারের দাবি, আমরা যখন দেখি, তখন ছিল সবুজ চাদর। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় ডাক্তারি পড়ুয়ার গায়ের উপর পড়েছিল নীল চাদর। তাতেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি বদলে ফেলা হয়েছিল নিহত মহিলা চিকিৎসকের গায়ের চাদর? রং নিয়ে পরিবারের দাবিতে তোলপাড় শুরু হয়। এ-প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সবুজ রঙের চাদরের কোনও অস্তিত্ব নেই। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও ভিত্তিহীন। যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, যে চাদর দিয়ে কভার করা হয়েছিল, সেটা নীল। আমাদের ফটো, ভিডিওগ্রাফিতে চাদরের রং লাল ছিল। ইনকোয়েস্টের সময় চাদর নীল ছিল। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যায় তথ্য-প্রমাণাদি, তার মধ্যেও কিন্তু একই রং আছে। অন্য কোনও কালারের তথ্যপ্রমাণ নেই। অন্য কোনও রং আমাদের রেকর্ডে নেই। আমাদের সিজার লিস্টে যেটা রয়েছে, সেটা নীল। যেটা লাল, সেটা আলাদা সিজার। আগে পাওয়া গেছে। সবুজের কোনও অস্তিত্ব নেই। যেটা লাল, সেটা চাপা দেওয়া ছিল না।

আরও পড়ুন- রাম-বাম ভীষণ মিল, কেরল থেকে বাংলা, যৌন কেলেঙ্কারি

নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, প্রথম তিনটের সময় নাকি একজন আমার মেয়ের কাছে গিয়েছিল। সে নাকি দেখেছিল, আমার মেয়ে লাল চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। পরে একজন ফটো দেখেছে, নীল চাদর গায়ে রয়েছে। আমরা যখন দেখেছি, তখন দেখেছি সবুজ চাদর। যখন নীল চাদর গায়ে দেওয়া, তখন বেড থেকে পা দূরে। আমরা যখন দেখেছি, তখন পা-গুলো সামনে।

Latest article