প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার টোটো ও ই-রিকশ— এই দুটি যানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো-বা ই-রিকশ বিক্রি করলে সেই ডিলারকে কালো তালিকভুক্ত করা হবে বলে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রাজ্য জুড়ে কয়েক লক্ষ টোটো বিক্রি হয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এখন প্রশাসনকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বে-আইনিভাবে টোটো এবং ই-রিকশ বিক্রি রুখতে এবার তার ডিলারদের তলব করা হবে।
আরও পড়ুন-অ্যাপ-নির্ভর বাইক ট্যাক্সি মালিকদের লাইসেন্স দেবে রাজ্য
চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের প্রায় শ’দেড়েক ডিলারকে ডেকে পাঠানো হবে। সেখানেই তাঁদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হবে যে, আগামিদিনে তাঁরা যদি কাউকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো-বা ই-রিকশ বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে তাঁদের রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাদের কালো তালিকভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে প্রত্যেকটি পুরসভায় চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সেই সংশ্লিষ্ট পুর এলাকায় কত সংখ্যক টোটো চলে, তার তালিকা তৈরি করে পুজোর মধ্যে পরিবহণ দফতরে জমা দিতে চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিটি শহর ও গ্রাম এলাকায় টোটোর নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দিতেও পুরসভা কর্তৃপক্ষ, পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বে-আইনিভাবে বছরের পর বছর ধরে শহর থেকে জেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো ও ই-রিকশ। আর তার জেরে একদিকে যেমন শহর থেকে গ্রাম যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে তেমনি বাসরুটগুলি যাত্রী হারাচ্ছে। আবার বড় রাস্তা ধরে যাত্রী নিয়ে এই সব টোটো ও ই-রিকশ চলাচল করায় দুর্ঘটনাও ঘটে চলেছে। টোটোর না আছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর না আছে নম্বর প্লেট, না চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। সেই সূত্রেই রাজ্য আগেই সিদ্ধান্ত নিযেছিল টোটো ও ই-রিকশর জন্য নির্দিষ্ট বিধি প্রণয়ন করা হবে। এবার সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হল বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।