সংবাদদাতা, কাটোয়া: বৃষ্টির ঘাটতি হলে কী হবে, পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বজ্রপাতের (Lightning) ঘাটতি নেই। এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। শুধু অগাস্টেই মারা গিয়েছে ৯ জন। বজ্রপাতের ক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসার তেমন সুযোগ মেলে না। তাই সতর্কতা আবশ্যিক, মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। বাজ পড়ে মৃত্যু ঠেকাতে নিজের বিধানসভা এলাকা পূর্বস্থলী দক্ষিণের লোকজনকে তালগাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’কে দায়ী করছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক আশুতোষ পাল।
আরও পড়ুন-ফলের গাড়িতে চোরাই কয়লা
বজ্রপাতে (Lightning) মৃত্যু এড়াতে মাঠে নেমেছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আধিকারিক প্রতীককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বজ্রপাত থেকে বাঁচতে কী কী করা দরকার আর কী কী করা উচিত নয়, সে ব্যাপারে জেলা জুড়ে প্রচার চলছে।’ বলা হচ্ছে— আবহাওয়া খারাপ হলে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরনোই ভাল। বজ্রগর্ভ মেঘ দেখলে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। যেমন, উঁচু বাড়ি বা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের স্তম্ভের নীচে। ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাতের সময় বৈদুতিন সরঞ্জাম থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। চলন্ত গাড়ির জানলা বন্ধ করে দিতে হবে। ফাঁকা জায়গা বা মাঠে কর্মরত থাকলে বাজ পড়ার সময় মাটিতে শুয়ে পড়তে হবে। নৌকোয় চাপা যাবে না। ধাতব বস্তুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না।