আমেদাবাদের (Ahmedabad) কাছে মেঘানি নগরে টেক অফার পরেই ৫ মিনিটে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ১৭১। এটি ছিল আমেরিকান সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান। এয়ার ইন্ডিয়া ও টাটা গ্রুপ ভেঙে পড়া এই বিমান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারপরেই টুইটারের প্রোফাইল ফটো ও ব্যানার ইমেজ কালো করে শোকপ্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এছাড়া সাদাকালো করে দেওয়া হয়েছে সংস্থার ওয়েবসাইটও। দুর্ঘটনার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে দুর্ঘটনার কথা জানায় এয়ার ইন্ডিয়া। তারপরই টাটা গ্রুপের তরফে দুঃখ প্রকাশ করেন এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরণ। তিনি জানান, টাটা গ্রুপের বর্তমানে প্রধান লক্ষ্য হল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের ও তাঁদের পরিবারের পাশে থাকা।
তিনি জানান দুর্ঘটনাস্থলের জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী দলগুলোকে সাহায্য করার জন্য ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য তাঁদের ক্ষমতার মধ্যে যতটা করা সম্ভব তাঁরা করছেন। এখানেই শেষ নয়, ফের বিকাল ৩. ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় টুইট করে এয়ার ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে এই বিমানে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান ও ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া এই দুর্ঘটনার পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি হটলাইন চালু করা করেছে। যার নম্বর 1800 5691 444। এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই কারণেই ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম-সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রোফাইল পিকচার বদলে কালো করে দেওয়া হয়েছে। ওই বিমানে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু মেম্বার-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকলেই মৃত। এছাড়া ৫০-৬০ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি, ৪-৫ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ, এইচডিইউ/আইসিইউতে ২-৩ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, আবাসিক ডাক্তারদের ৩-৪ জন আত্মীয় নিখোঁজ ও একজন সুপার-স্পেশালিস্ট ডাক্তারের স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।