প্রতিবেদন : বিষমদে কার্যত মৃত্যুমিছিল মোদির গুজরাতে। মদ নিষিদ্ধ হওয়া এই রাজ্যে বিষমদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২। দুই জেলায় বিষমদ পান করে গুরুতর অসুস্থ ৯৭ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা সঙ্কটজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গুজরাতের বিজেপি সরকার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ছ’জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে। বোটাড ও আমেদাবাদ জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। তবে দুই জেলার অনেকেই অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। বিষমদে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন-দিন-রাত লাগাতার ৫০ ঘণ্টার ধরনায় তৃণমূল-সহ বিরোধীরা
বিষমদে মৃতদের ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত, মদে বিষক্রিয়ার কারণেই সকলের মৃত্যু হয়েছে। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মৃতদের পাকস্থলীতে বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহল মিলেছে। ৪২ জনের প্রাণ যাওয়ার পর কয়েকজন বিষমদ বিক্রেতা গ্রেফতার হয়েছে। আমেদাবাদের ধন্ধুকা এলাকা থেকেও বিষমদে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন-যিনি পঞ্চায়েত সামলান, তিনি কৃষিকাজও করেন
বৃহস্পতিবার গুজরাতের স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ কুমার বলেন, বোটাডের এসপি করণরাজ বাঘেল এবং আমেদাবাদের এসপি বীরেন্দ্র সিং যাদবকে বদলি করা হয়েছে। দুই ডিএসপি-সহ ছ’জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বহু বছর ধরেই গুজরাতে মদ তৈরি, বিক্রি ও পান করা নিষিদ্ধ। তার পরেও কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসকদল বিজেপির মদতেই ক্রমশ রাজ্যে মদের রমরমা বাড়ছে। একই অভিযোগ আম আদমি পার্টির। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মদত থাকায় মদের রমরমা ঠেকাতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।