প্রতিবেদন : মৃত্যুমিছিল চলছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে হামাসের অতর্কিত ভয়ঙ্কর হামলার প্রতিশোধ নিতে সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়েছে ইজরায়েল। আকাশপথ ও স্থলপথে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গাজা ভূখণ্ডকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গাজায় প্রায় আট হাজার মানুষের মৃত্যু, অসংখ্য আহত ও শরণার্থী মিলিয়ে মানবতার সংকট তৈরি হয়েছে। প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের অপরাধের দায় নিতে হচ্ছে গাজার নিরীহ মানুষকে। অসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য নানা মহল থেকে ইজরায়েলকে রাশ টানতে বলা হলেও নারাজ সেদেশের সরকার। পুরোদমে যুদ্ধ চালিয়ে হামাস জঙ্গিদের উৎখাত করার বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন-জাতীয় অ্যাক্রোবেটিক ৭ পদক পূর্বস্থলীর ছেলেমেয়েদের
সোমবার তেল আভিভে সুর চড়িয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় এখন কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না। লড়াই থামানো যাবে না। যুদ্ধ বিরতি মানেই হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধে জয় হাসিল না করা পর্যন্ত আমাদের সেনারা লড়াই চালিয়ে যাবে। নেতানিয়াহুর এই অনড় মনোভাবেই স্পষ্ট, গাজার মৃত্যুমিছিল নিয়ে দায় নিতে নারাজ ইজরায়েল। হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তির জন্য আলোচনা নয়, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষই তাদের হাতিয়ার। হামাসকে শিক্ষা দিতে গিয়ে গাজার সাধারণ মানুষ প্রাণ হারালেও তাই থামতে চান না নেতানিয়াহু। ফলে গাজায় হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে। চলছে বোমাবর্ষণ, গাজার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের ট্যাঙ্ক বাহিনী। গাজার সঙ্গে রাফা সীমান্ত চৌকি খুলে দিয়েছে মিশর। তারপরেও অভিযোগ, গাজায় ত্রাণ পৌঁছতে পারছে না।
আরও পড়ুন-পাটাপুজো করে রাস উৎসবের ঢাকে কাঠি পূর্বস্থলীতে
এদিকে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘে হামাসকে আধুনিক যুগের নাৎসি বলে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল। রাষ্ট্রসংঘে তাদের তরফে বলা হয়েছে, হামাস এখন গাজার শাসক। বহু প্যালেস্টিনীয়দের হত্যা করেছে হামাস। ইহুদিদের হত্যা করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। বর্তমান পরিস্থিতির দায়ও তাদের। কারণ ৭ অক্টোবর হামলা হামাসই প্রথম শুরু করেছিল, যার অভিঘাতে দেড় হাজারের বেশি ইজরায়েলি নিহত হন।