সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: চার বছর আগে সুচ ফুটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তিন বছরের শিশুকন্যাকে। প্রেমের সম্পর্কের বাধা সরিয়ে ফেলতে মা এবং তার প্রেমিকের কাণ্ড। অবশেষে শাস্তি পেল দোষীরা। শনিবার পুরুলিয়ার আদালত মা মঙ্গলা গোস্বামী ও তার প্রেমিক সনাতন ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন : উপনির্বাচনের আগে ভবানীপুরে বিজেপিতে ভাঙন
জ্বর, সর্দিকাশির উপসর্গ নিয়ে ২০১৭ সালে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে শিশুকন্যাকে ভর্তি করে মঙ্গলা। চিকিৎসকদের নজরে পড়ে শিশুটির শরীরে একাধিক সুচের দাগ। সঙ্গে ছিল নখের আঁচড়, নিম্নাঙ্গে রক্তের দাগ। কারণ জানতে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন চিকিৎসকেরা। এক্স রে রিপোর্টে দেখা যায় সাতটি সুচ বিঁধে শিশুটির শরীরে। মঙ্গলা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। পরে জানায়, হোমগার্ড সনাতন ঠাকুরের বাড়িতে সে পরিচারিকার কাজ করে। সনাতনই মেয়ের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে শিশুটিকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। অস্ত্রোপচার করে সুচগুলি বের করা হলেও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। পুলিশ পুরুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে মঙ্গলা গোস্বামীকে। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার রেনুকট হনুমান মন্দিরে ধরা পড়ে সনাতন।