প্রতিবেদন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় (Turkey-Syria Earthquake) ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে ভূকম্পনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা বাড়বে। প্রায় সব হাসপাতালেই ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই রব। মাটিতে শুইয়ে রেখে চলছে চিকিৎসা।
জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবল প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ। তুরস্কের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে এসেছে। বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ২-৩ ডিগ্রির মধ্যে। একই সঙ্গে চলছে বৃষ্টি ও তুষারপাত। ঘরবাড়ি হারানো সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলি রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায় অবস্থায় কেঁপে চলেছে। প্রবল বৃষ্টি, ঠান্ডা ও তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানোও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকারীরা এই মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ সরানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ওই সমস্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে কোনও জীবিত মানুষ থাকলে তাঁদের উদ্ধার করতে জোরকদমে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। বহু এলাকায় রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পারছেন না। ফলে সেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। ত্রাণসামগ্রী না পেয়ে বেঁচে থাকা মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যাঁরা কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা প্রবল ঠান্ডা ও খিদের জ্বালায় প্রায় মৃত্যুর মুখে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন-অপরাধীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুন সাংবাদিক!
বুধবার দক্ষিণ তুরস্কের (Turkey-Syria Earthquake) ভূকম্প-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট তাইপে এরদোগান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যত শীঘ্র সম্ভব গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে। রহমত সিদ্দিকি নামে কারামানমারাস প্রদেশের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, তিনি কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের তলায় তাঁর পরিবার চাপা পড়ে রয়েছে। তিনি কোনও উদ্ধারকারীর দেখা পাচ্ছেন না। বছর ৭০-এর এক বৃদ্ধা জানলেন, গত দু’দিন ধরে তাঁর কোনও খাওয়া জোটেনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের তরফে তুরস্ককে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী উদ্ধারকারী দল ও মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তাঁরা পৌঁছতে পারছেন না।