গুজবের ওপর ভিত্তি করে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে পুষ্পক এক্সপ্রেস (Pushpak Express) থেকে লাফ দিয়ে অন্য ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই পাচোরা সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ট্রেনের আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে পাশের লাইনে লাফ দেন। ঘটনাচক্রে সেই সময় উল্টো দিক থেকে বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী কর্নাটক এক্সপ্রেস আসছিল। ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় ১১ জনের। আহত হন বহু। ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এরপরে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন-নাবালিকা যৌন নির্যাতনে যাবজ্জীবন
পুলিশের স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল এই মর্মে জানিয়েছেন আধার কার্ড দেখে ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফ্টি-র সেন্ট্রাল সার্কেল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এই সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন-যৌনতায় সম্মতির অর্থ আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট নয়: দিল্লি হাইকোর্ট
বারংবার রেলের গাফিলতি প্রকাশ্যে আসলেও নির্লজ্জতার চূড়ান্ত নিদর্শন প্রদর্শিত হল এদিনের ঘটনার। দেশজুড়ে নিন্দার মুখে নিহতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়েছে । রেলের তরফে গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের চালক দূর থেকে কিছু আঁচ করা সত্ত্বেও কোনও হর্ন দেননি। হর্ন দিলে হয়তো এত বড় একটা দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তবে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে সেই সংক্রান্ত খবর বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের কাছে আদৌ ছিল কিনা এই নিয়েও বাড়ছে সন্দেহ। এর আগেও ট্রেনের সিগনালিং নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে তবে এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি।