বাড়ছে মৃত্যু, জঙ্গিযোগ স্পষ্ট

লালকেল্লার গায়ে বিস্ফোরণে ক্রমশ জইশ জঙ্গিযোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা প্রমাণ করছে সম্ভবত সেই আই-২০ গাড়িতেই বিস্ফোরক মজুত ছিল।

Must read

প্রতিবেদন : লালকেল্লার গায়ে বিস্ফোরণে ক্রমশ জইশ জঙ্গিযোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা প্রমাণ করছে সম্ভবত সেই আই-২০ গাড়িতেই বিস্ফোরক মজুত ছিল। তদন্তে উঠে আসছে ওমরের নাম। তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ২৭ জন। অনেকের অবস্থাই গুরুতর। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আরও ৬৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

কিন্তু রাজধানী দিল্লিতে লালকেল্লার মতো স্পর্শকাতর জায়গায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটল! কীভাবে গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে সাহরনপুরে প্রায় তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক মজুত হল! কীভাবে বিস্ফোরক-সহ গাড়িতে টানা তিনঘণ্টা সন্দেহভাজন ওমর বসে রইল অথচ গোয়েন্দারা জানতে পারলেন না! এমন ভয়াবহ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীই বা কোন কাণ্ডজ্ঞানে বিদেশ সফরে গেলেন? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের দুই নেতৃত্ব শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক। যার উত্তর নেই বিজেপি বা কেন্দ্রের কাছে।

আরও পড়ুন-বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে BLA নিয়োগে নয়া নির্দেশিকা ! কমিশনকে নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসের

দিল্লি বিস্ফোরণে নাম উঠে এসেছে জঙ্গি ওমরের। ওমর কী করছিল বিস্ফোরণের সময়? দিল্লি পুলিশের সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, সোমবার বিকেলে ওমর আই-২০ গাড়িটি নিয়ে পার্কিং লটে ঢুকছে। পার্কিং লটে টানা তিনঘণ্টা গাড়িতে বসেছিল। এক মিনিটের জন্য গাড়ি থেকে নামেনি। প্রশ্ন হল, কেন সে গাড়ি থেকে নামেনি? নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল? কখন, কোথায় বিস্ফোরণ করা হবে তার জন্যই কি দীর্ঘ অপেক্ষা? ওমরের একটি ছবি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। লাল কেল্লার গায়ে বিস্ফোরণে ওমর অন্যতম সন্দেহভাজন। চলছে তল্লাশি। কিন্তু ওমর কি নিজেই ছিল মানববোমা? প্রশ্ন তদন্তকারীদেরও। মৃতদের দেহের তথ্য-তালাশ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাঁচাতে মন্ত্রীর কাছে দরবার বিধায়কের

কে এই ওমর নবি? সেও নাকি চিকিৎসক! সাহারনপুরে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার আদিল অনন্তনাগে থাকত। অনন্তনাগে থাকার সময়তেই ওমরের সঙ্গে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা। আদিল গ্রেফতার হওয়ার পর খোঁজ শুরু হয় ওমরের। ওমরের গাড়িটি প্রবেশ করেছিল বদরপুর দিয়ে দিল্লি সীমান্তে। তারিক গাড়িটি কিনে ওমরকে বিক্রি করেছিল। তারিক গাড়ির ডিলার। গাড়ি কিনে বিক্রি করার ব্যবসা করত। পুলওয়ামায় আমির রশিদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তারিকের। আমির রশিদ মূলত কলমিস্ত্রির কাজ করত। পাশাপাশি তারিককে গাড়ির কাজে সাহায্য করত। ওমরের গাড়িটি সলমানের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলওয়ামা ‘ককাস’ লালকেল্লার গায়ে বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা বলে মনে করছে গোয়েন্দারা।

Latest article