কালীগঞ্জে আলিফার প্রচারে দেবাংশু, মোশারফ, বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি বাংলা মানে না

ভোটপ্রচারের মাত্র তিন দিন বাকি, শেষ লগ্নে তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকা চষে ফেলছেন

Must read

সংবাদদাতা, নদিয়া : ভোটপ্রচারের মাত্র তিন দিন বাকি, শেষ লগ্নে তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকা চষে ফেলছেন। তাঁর লক্ষ্য, কালীগঞ্জের সমস্ত এলাকায় পৌঁছনো। সেই লক্ষ্যে শনিবার বড় চাঁদঘর পঞ্চায়েতের শিয়ালখোলা, মলান্দী, শীতলপুরে হুড খোলা জিপে ছোট ছোট র‍্যালি করলেন তিনি। মাঝে মাঝে গাড়ি থেকে নেমে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে বোঝান উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৪টি প্রকল্পের পরিষেবা পেতে তৃণমূলকেই দরকার।

আরও পড়ুন-বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে জোরকদমে কাজ শুরু

এছাড়াও গদ্দার অধিকারীর কটূক্তির জবাব দিয়ে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের কাছে গেলেই বুঝতে পারবেন আমার বাবা তাঁদের কাছে কী ছিলেন। ওয়াকফ নিয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি পুরো মিথ্যে বোঝাচ্ছে। মানুষই এর জবাব দেবেন ১৯ তারিখে। এলাকার মানুষকে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর হাতিয়ার একমাত্র উন্নয়ন। বাংলার প্রান্তিক মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পানীয় জল, রাস্তা, আলো ও অন্যান্য পরিষেবা পাবে সেটা দেখাই তাঁর কাজ। বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক দলকে কখনওই স্থান দেননি। এবারেও দেবেন না। এই উপনির্বাচন, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট তৃণমূলই জিতবে। প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ প্রিয় লাল সাহেবের মেয়েকে দেখে সর্বত্র এলাকার তরুণী থেকে প্রবীণারা এগিয়ে এসে কথা বলছেন। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন এই এলাকার ভোট আদতে সর্বধর্ম মিলন উৎসব। শনিবার কাটোয়া মোড়ের প্রচারসভায় তারকা প্রচারক ছিলেন বিধায়ক মোশারফ হোসেন। মাটিয়ারি অঞ্চলের রামসীতা ময়দানে তাঁর হয়ে প্রচারসভা করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক তাস খেলে ভোট বিভাজন করতে চায়। উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে ভিত্তি করে তৃণমূল ভোট নিতে এসেছে। দেবাংশুর বক্তব্য, সকল হিন্দু এক হও এই স্লোগান দিয়ে দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু জেতার পরেই হিন্দু তথা বাঙালিদের ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। এখানেও গদ্দার অধিকারী হিন্দুদের নামে ভোট চাইছে। যিনি কদিন আগেই হিন্দুদের অসম্মান করে বলেছিলেন, এরা ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়, এরা জালি হিন্দু। বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, এরা রাম নয়, রাবণ। রাবণ যেমন সাধুর ছদ্মবেশে সীতাহরণ করেছিল, এরাও তাই। আলিফার সমর্থনে সভায় লোক হয় চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াও জেলা সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর, বিধায়ক কল্লোল খান প্রমুখ।

Latest article