তৃণমূল যুব’র সভায় বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার দেবাংশু

টাউন হল থেকে শুরু হয়ে রাজবাটি উত্তর ফটকে মিছিল শেষ হয়।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : একদিকে তৃণমূলের একুশের ধর্মতলা সমাবেশ, অন্যদিকে বিজেপির বাংলাবিদ্বেষী প্রচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুবর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মিছিল বেরোল বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার ধর্মতলা সমাবেশ সফল করতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার যুব তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মিছিল হল বর্ধমানের জিটি রোড, বড়বাজার, বিসি রোডে।

আরও পড়ুন-৫৫০ কোটি ব্যয়ে জলপ্রকল্পের কাজ

টাউন হল থেকে শুরু হয়ে রাজবাটি উত্তর ফটকে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে হাঁটেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা, সাংসদ শর্মিলা সরকার, বিধায়ক নিশীথ মালিক, অভেদানন্দ থাণ্ডার, শম্পা ধাড়া, মধুসূদন ভট্টাচার্য, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার নয়া চেয়ারম্যান উজ্জ্বল প্রামাণিক, ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার-সহ জেলা নেতৃত্ব। রাজবাটি উত্তর ফটকে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপিকে আগামী বছর বাংলার মানুষ সুদে-আসলে জবাব দেবেন। আসামে ৪০ লাখের মধ্যে ৩০ লাখ হিন্দুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বাংলাকে ডিটেনশন ক্যাম্পের রাজধানী বানাতে চাইছে। অসম সরকার কোচবিহারের রাজবংশী হিন্দুকে এনআরসির নোটিশ পাঠিয়েছে, মহারাষ্ট-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লোক ধরছে আর বলছে, বাংলাদেশি। বাংলা ভাষায় কথা বলা লোক না থাকলে ভারত স্বাধীন হত কি? এই চক্রান্ত রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ওদের ১২টা এমপি কিছু করছে না। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাকে উজাড় করে দিয়েছেন। দেবাংশু বলেন, ২৬ শুধু ১৬ -০ নয়, ২১-এর থেকে জেতার ব্যবধান বাড়িয়ে বিজেপিকে ইভিএমের মাধ্যমে জুতো মারতে হবে। ২০২৬-এ তিন পার্টির সংমিশ্রণে যে পার্টি আছে, তাকে হারাতে হবে।

Latest article