সিবিআই (CBI) অফিসে এবার ডাক পড়ল ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। এর আগেও সিবিআই আধিকারিকরা ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। তবে তিনি যান নি। রাজনৈতিক কারণে ব্যস্ততা দেখালেও আসল কারণ জানা যায় নি। ১৪ই অগস্ট প্রথম ‘রাত দখলের’ কর্মসূচির সময় মীনাক্ষীর নেতৃত্বে বামেরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। হঠাৎ সেই সময় একদল দুষ্কৃতী এসে হাসপাতালে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করা হয় হাসপাতাল। পুলিশ কর্মীদেরও এদিন মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরপরেই মীনাক্ষীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অবশেষে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৪ই অগস্ট আরজি করে ভাঙচুড়ের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মীনাক্ষীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত পণ্যবাহী ট্রেন
এই মর্মে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, ”১৪ তারিখ রাতে আর.জি.করে ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষীকে সিবিআই ডেকেছে। মনে রাখবেন, ঐদিন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছিল এবং আরজিকরের সামনে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই অফিসিয়ালি অনুষ্ঠান করছিল। ওইখান থেকেই একটা ভিড় এসে ভাঙচুর চালায়।
সিপিএম যে কি ভয়ানক প্রাণী সেটা কলতান দাশগুপ্তের কল রেকর্ডিং-এ অলরেডি প্রকাশ পেয়েছে। তৃণমূলকে কেস খাওয়ানোর জন্য যারা জুনিয়র ডাক্তারদের মাথা ফাটানোর মতো চক্রান্ত করতে পারে, তারা সামান্য আরজিকরে ভাঙচুর চালাতে পারবেনা একথা বিশ্বাস করি না। কলতানের ক্ষেত্রে অডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাই মানুষ জানতে পেরেছে। আরজিকরে ভাঙচুরের ঘটনায় সেই প্ল্যানিং প্রকাশ্যে আসেনি; তফাত এটুকুই! যদি না ভোট ট্রান্সফারের শর্তে আবার সেটিং হয়ে যায়, তাহলে সত্যিটা এবার প্রকাশ পাবে।”