প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে আরজি করের ৪৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ মোট ৫৯ জনকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সোমবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকেই ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি আরজি করের অধ্যক্ষ তথা সিপিএম ঘনিষ্ঠ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে সাসপেন্ড কেন? এটাও কি থ্রেট কালচার নয়? কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এরপরই স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, এখন থেকে রাজ্যকে না জানিয়ে কাউকে সাসপেন্ড করা যাবে না। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, এই ৫৯ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত হবে। সেখানে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, যখন যেমন মনে হল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম এ-জিনিস চলবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যাকে পছন্দ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয়, কিন্তু যাকে পছন্দ নয় তাকে সাসপেন্ড করব, এসব হবে না। এবিষয়ে সুস্পষ্ট নজর দিতে বলেন মুখ্যসচিবকে।
আরও পড়ুন-আপনাদের শুভেচ্ছায় সফল অস্ত্রোপচার
টাস্ক ফোর্স-সহ হাসপাতালের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে আসায় একাধিক কমিটিতে সব পক্ষের সাযুজ্য রেখে আগামিদিনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপও তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিস্তারিতভাবে প্রতিটি পয়েন্ট ধরে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের মাঝেই দরকার মতো উপস্থিত কয়েকজন অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপির থেকে তথ্য জেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাক্তার ফ্রন্টের প্রতিনিধিদের বারবার অনুরোধ করেছেন, অনশন তুলে কাজে ফিরতে। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।