ঢাকা : বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে সঙ্গীত এবং শারীরশিক্ষার শিক্ষকের পদে নিয়োগ বাতিল করল ইউনুস সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের একাধিক মৌলবাদী গোষ্ঠীর চাপে নেওয়া হয়েছে বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ এ-ধরনের একাধিক গোষ্ঠী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শারীরশিক্ষা এবং সঙ্গীতের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবি তুলেছিল। সেই চাপে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মেনে নিয়েছে এই দাবি। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন- হাসিনার আত্মীয় সেনাপ্রধান ওয়াকার মার্কিন চর হয়ে সরকার ফেলার নেপথ্যে! বিস্ফোরক অভিযোগ কামালের
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, নতুন নিয়োগে সঙ্গীত এবং শারীরশিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদগুলি বাদ দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে মাসুদ আখতার খান বলেন, যদিও গত অগাস্টে জারি করা নিয়মগুলিতে চারটি বিভাগের পদ ছিল, সংশোধনীতে দুটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে সঙ্গীত এবং শারীরশিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ নেই। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠীর প্রধান সৈয়দ রেজাউল করিম সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন, আপনারা সঙ্গীত আর শারীরশিক্ষক নিয়োগ করতে চান? তারা কী শেখাবে? আপনারা আমাদের সন্তানদের অসম্মানজনক, বিশৃঙ্খল এবং চরিত্রহীন করতে চান? আমরা কখনও তা সহ্য করব না। পাশাপাশি তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ইসলামপ্রেমী মানুষ’ তাদের দাবিগুলি উপেক্ষা করা হলে রাস্তায় নামবে। ওই হুমকির পরই পিছু হটল ইউনুস সরকার।

