নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : নতুন পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে কমেছে গর্ভধারণের হার। গর্ভধারণের হার ২.২ থেকে কমে হয়েছে ২.০। বিহারের গর্ভধারণের হার ২.৯৮, মেঘালয়ের হার ২.৯১, উত্তরপ্রদেশের গর্ভধারণের হার ২.৩৫, ঝাড়খণ্ড ২.২৬ এবং মণিপুরে ২.১৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে ৮৭ শতাংশ জন্ম হয়েছে প্রতিষ্ঠানে এবং শহরাঞ্চলে তা ৯৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন-তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে তৎপর পুরবোর্ড, জোর দিল বকেয়া কাজে
সমীক্ষা অনুযায়ী তবে শিশুদের বেড়ে ওঠার হারও কমেছে। ৩৮ শতাংশ থেকে কমে সেই হার হয়েছে ৩৬ শতাংশ। ২০১৯-২১ এর সমীক্ষায় জানানো হয়, গ্রামাঞ্চলে শিশুদের বেড়ে ওঠার হার ৩৭ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে তা ৩০ শতাশ। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে গতকাল করোনা নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের করোনা ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান এন কে অরোরা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে করোনায় যে ৪৭ লক্ষ মৃত্যুর কথা বলেছে, তার কোনও যুক্তি নেই। তাঁর বক্তব্য, ৪০ লক্ষ মৃতের পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়নি সুতরাং ভারতে করোনায় ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, নীতি আয়োগ এই রিপোর্ট সম্পর্কে বলেছে, করোনায় মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে যেভাবে ভারতকে ছোট করে দেখানো হয়েছে, তা কাম্য নয়। স্বাভাবিকভাবেই আজ সকাল থেকেই হু-এর প্রকাশিত রিপোর্ট খারিজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘করোনার শুরু থেকেই বারেবারে ভারত সরকারের উদাসীনতা প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে কিট নিয়ে কেলেঙ্কারি, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইনের অপ্রতুলতা, পরবর্তীতে টিকা, অক্সিজেনের অপ্রতুলতা। সার্বিকভাবে রাজনীতি-সর্বস্ব এবং মিথ্যা প্রচার-সর্বস্ব একটা পদ্ধতি ছাড়া ভারত সরকার কখনওই করোনা দূর করতে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। তারা যে মিথ্যা তত্ত্ব প্রকাশ করেছে সেটা ভারতকে সারা দুনিয়ার সামনে অনেক ছোট করে দিয়েছে।”