দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত বেড়ে ১৫, তদন্তের স্বার্থে দশ সদস্যের NIA টিম

রাজধানীর বুকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নাগরিক নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই ধৃত বেড়ে ১৫। স্পষ্ট হয়েছে মৌলবী যোগও।

Must read

রাজধানীর বুকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নাগরিক নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই ধৃত বেড়ে ১৫। স্পষ্ট হয়েছে মৌলবী যোগও। ধৃতরা সকলেই জইশ-এর ‘ডাক্তার মডিউলের’ সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু জনকে জম্মু-কাশ্মীর, কিছু জনকে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সন্দেহভাজনদের তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে।

আরও পড়ুন-টার্গেট ছিল ২৬ জানুয়ারি! দিল্লিকাণ্ডে ধৃতকে জেরায় উঠল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সোমবার সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিট নাগাদ রাজধানীর রাজপথে বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লালকেল্লা চত্বর। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় একাধিক প্রাণ। আই টোয়েন্টি গাড়িতে বিস্ফোরণের ভয়ংকর মুহূর্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ফরেনসিক টিম জোড়া কার্তুজ উদ্ধার করেছে বলে খবর। ঘটনা তদন্তে দশ সদস্যের এনআইএ-এর টিম গঠিত হয়েছে। রয়েছেন একজন আইজি, দুজন ডিআইজি, তিন জন এসপি লেভেলের অফিসার।

আরও পড়ুন-দিল্লিকাণ্ডে অধরা ১০টি প্রশ্নের উত্তর

তদন্তকারীদের সন্দেহভাজনের তালিকায় জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার এক মৌলবীও রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তিনিই ডাক্তারদের ব্রেনওয়াশ করতেন।শ্রীনগরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মোজাম্মিল, উমরের সঙ্গেও। জঙ্গি গোষ্ঠী জইশের সঙ্গেও তার যোগাযোগ স্পষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যেই।প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান ফরিদাবাদে ভাড়া বাড়িতে মজুত প্রায় ৩০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করতে-ই পরিকল্পনা বদল করার ভাবনা চিন্তা করেন উমর ও তার সঙ্গীরা। ২৬ জানুয়ারিকে টার্গেট করে দ্রুত বিস্ফোরক অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়েই এই ঘটনা বলে অনুমান। জানা গেছে ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ঘাতক গাড়িটি পার্ক করা ছিল। ডাক্তার মুজাম্মিলের পাশেই ডাক্তার উমরের গাড়িটি রাখা ছিল। সিসিটিভি ফুটেছে অভিযুক্ত তিনজনকেই গাড়িতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Latest article