রেলকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট

লক্ষণীয়, একটি সংরক্ষিত কামরায় আসন সংখ্যা সাধারণত ৭২-৭৩। কিন্তু শনিবার রাতে সেই সংখ্যার অনুপাতে টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল অনেক বেশি।

Must read

প্রতিবেদন: নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্র এবং রেলকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে এত টিকিট বিক্রি করা হল? ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকিট দেওয়া হল কোন হিসাবে? বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রীতিমতো তোপের মুখে পড়ল রেল। প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রেলের আধিকারিকরা আর একটু দায়িত্ব নিয়ে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কোথাও একটা উপেক্ষা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ট্রাম্পের অমানবিকতায় নীরব কেন প্রধানমন্ত্রী? জবাব চাইল বিরোধীরা

আদালত এদিন রেলের কাছে সরাসরি জানতে চায়, শনিবার রাতে কেন বাড়তি টিকিট দেওয়া হল যাত্রীদের? কেন ট্রেনগুলির যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতার উপরে নজর রাখা হল না? টিকিট বিক্রির সময় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হল না? যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেল কী কী পদক্ষেপ করেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী রেলের অফিসারদের দায়িত্ব, প্রতিটি ট্রেনেরই সুনির্দিষ্ট সংখ্যার যাত্রীকেই টিকিট দেওয়া। সেই সংখ্যাটা অবশ্যই লিখিতভাবে থাকতে হবে কোচের বাইরে। লক্ষণীয়, একটি সংরক্ষিত কামরায় আসন সংখ্যা সাধারণত ৭২-৭৩। কিন্তু শনিবার রাতে সেই সংখ্যার অনুপাতে টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল অনেক বেশি।

Latest article