সংবাদদাতা, সিউড়ি : চতুর্থবারের জন্য বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে শতাব্দী রায়ের নাম ঘোষণা হতেই কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেল। শুরু হয়ে গেল তাঁর নামে দেওয়াল লিখন। সিউড়ি ২ ব্লকের কোমা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন প্রচারে। তাঁদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় বীরভূমের একাধিক বঞ্চনার কথা তুলে যেভাবে সংসদে সরব হয়েছেন তাতে চতুর্থবার তাঁর নাম ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তাঁর প্রতিবাদের কারণেই লোকাল ট্রেনের ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সিউড়ি শহরে ঢোকার মুখে পাঁচ বছর ধরে একটি ফ্লাইওভার তৈরি শুরু করলেও রেল তার কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। আমাদের সাংসদ একাধিকবার এ নিয়ে সরব হয়েছেন সংসদে।
আরও পড়ুন-দলনেত্রীর হাত ধরে রচনা রাজনীতিতে দিদি নম্বর ওয়ান
গত বছর পুনরায় কাজ শুরু হবে এবং নতুন বছর আসার আগেই ফ্লাইওভার চালু হয়ে যাবে একথা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু তারপরে আরও একটা বছর হতে চলল, ফ্লাইওভারের কাজ ১০ শতাংশও এগোয়নি। এ নিয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় সংসদে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই বাংলার উপর প্রতিশোধ নিতেই বিজেপি এই ধরনের নোংরামো চালিয়ে যাচ্ছে। উচ্ছ্বসিত শতাব্দী রায়ের প্রতিক্রিয়া, সোমবারই বীরভূমে আসছি। কিছু পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেব। তারপর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব। লোকসভা নির্বাচনে প্রচার কবে থেকে শুরু করব সেটাও বীরভূম জেলা কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দিন ঠিক হবে। তবে প্রচার শুরুর আগে তারাপীঠে মায়ের আশীর্বাদ নেব। তারপর বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের আশীর্বাদ নিতে পথে নেমে পড়ব। দিল্লির নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছে, কারণ তাদের মনে হারের ভয় রয়েছে। কিন্তু মানুষ ভোটের পরে তাদের ফের বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন।