প্রতিবেদন : শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নোটিশ দেওয়ার পর রবিবার দিল্লির মন্ত্রী অতীশীর বাড়িতে হাজির হল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ দিতেই এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। যদিও সেই সময় মন্ত্রী বাড়িতে না থাকায় নোটিশ না দিয়েই ফিরে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন-বিশ্বের ধনীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে মার্ক জুকারবার্গ
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, ৭ জন আপ বিধায়ককে ২৫ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দল ছাড়তে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ওই আপ বিধায়কদের বলা হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই কেজরিওয়াল গ্রেফতার হবেন এবং দিল্লির সরকার পড়ে যাবে। কেজরিওয়ালের পাশাপাশি একই অভিযোগ করেন দিল্লির আপ সরকারের মন্ত্রী অতীশীও। এই অভিযোগের জেরেই কেজরির পর অতীশীর বিরুদ্ধে সক্রিয় হল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশ।
শনিবার কেজরির বাসভবনে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে তাঁকে নোটিশ দিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নোটিশে কেজরির করা অভিযোগের বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। অবশ্য কেজরি সেই সময় বাসভবনে ছিলেন না। পরে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “দিল্লি পুলিশের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে।অপরাধ রোখার বদলে তাদের নাটক করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। কেজরির বাড়িতে পুলিশ পাঠানো নিয়ে আপের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের বাড়িতে তামাশা করার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন মোদি। বিজেপির পুলিশ একটা প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেনি। কোন আইনে এমন নোটিশ লেখা হয়েছে যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই দেওয়া যায়? এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ইডি জানিয়েছে, পাঁচবার সমন জারির পরেও কেজরিওয়াল তাদের সামনে হাজির হননি। মামলার শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি।