সোনার মেয়েদের উপর তাণ্ডব দিল্লি পুলিশের, ধিক্কার গোটা দেশ জুড়ে

ট্যুইটে ধিক্কার নেত্রীর

Must read

প্রতিবেদন : দেশের লজ্জার দিন। দেশের কালো দিন। একদিকে সাধু-সন্তকে দিয়ে ১৪ হাজার কোটির সেন্ট্রাল ভিস্টায় সংসদ ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে। তখন সংসদ ভবনের বাইরে দেশের সোনার মেয়েদের উপর চলছে মোদি-অমিত শাহর পুলিশের অত্যাচার। কেউ অলিম্পক থেকে পদক এনেছেন। কেউ এশিয়ান বা কমনওয়েলথ গেমস থেকে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, লজ্জার দিন। সোনার মেয়েদের উপর স্বৈরাচারীদের অত্যাচার। দীর্ঘ প্রায় দু’মাস ধরে তারা রাজধানীর যন্তরমন্তরের বুকে ধরনায় বসেছেন। কীসের অভিযোগে? তাঁদের সংগঠনের সভাপতি, যিনি আবার বিজেপির সাংসদ, নাম ব্রিজভূণ সিং। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য যৌন হেনস্থার অভিযোগ। তবু তাকে সরানো হয়নি। মোদি সরকার একজন যৌন হেনস্থায় অভিযোগকারীকে ক্ষমতায় রেখে দিয়েছে। রোজ নানা মন্তব্য করে চলেছে। অথচ একটি বারও সে নিয়ে তদন্ত করারও প্রয়োজনবোধ করেনি। সত্যের পরাকাষ্ঠা এইসব বিজেপি নেতাদের রবিবার দেখা গেল সাধু-সন্তদের নিয়ে সংসদ ভবনের উদ্বোধনে। যখন উদ্বোধন চলছে তখন বাইরে দেশের শীর্ষস্থানীয় কুস্তিগিররা (Wrestlers Protest) সংসদ ভবন অভিযানে নেমেছিলেন। সংসদের বাইরে মহিলা পঞ্চায়েত করার আগাম ঘোষণা করেছিলেন সাক্ষী মালিক, ভিনেস ফোগটরা। যাওয়ার পথে বাধা দিলে একরকম ছিল। কিন্তু যেভাবে দেশের সোনার মেয়েদের পুলিশে মারধর করল, টানা-হ্যাঁচড়া করল। চ্যাংদোলা করে গাড়িতে ফেলল তা দেখে বিস্মিত হয়েছেন দেশবাসী। দিল্লি পুলিশকে কার্যত মোদি-শাহরা লেলিয়ে দিয়েছিল কুস্তিগিরদের জব্দ করতে। পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, আমাদের গুলি করো। সাক্ষী মালিককে কম করে ২০ জন পুলিশ যখন তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তিনি বলছেন দেখুন দেশকে যারা গর্বিত করল, তাদের সঙ্গে দেশের কি ব্যবহার? আমরা শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলাম। তারও অধিকার কেড়ে নেওয়া হল।

আরও পড়ুন- মেগা ফাইনালে মাঠে নামার আগে অবসর ঘোষণা অম্বাতি রায়াডুর

ভিনেস, সাক্ষী আর বজরঙ্গকে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে চারজন কুস্তিগিরের (Wrestlers Protest) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারে দিল্লি পুলিশ। এরা হলেন, সাক্ষী, বজরং, ভিনেস ও সঙ্গীতা। এদের বিরুদ্ধে ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (সশস্ত্র দাঙ্গা), ১৪৯ (অবৈধ জমায়েত), ৩৫২ (অশান্তিতে ইন্ধন ও হেনস্থা), ৩৫৩ (সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা) ও ১৮৬ (সরকারি আধিকারিককে কাজে বাধা) ধারা প্রয়োগ করতে পারে পুলিশ। সাক্ষীর অভিযোগ, পুলিশ পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে। বাজেভাবে মারধর করেছে। ক্ষুব্ধ বজরঙ্গ বলেন, দেশ ওঁকে পদ্মশ্রী দিয়েছে। তার সম্মানটুকু দিল না। আমরা পুলিশকে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়েছিলাম। অনুমতি না দিলেও রাস্তায় হাঁটতে কেন বাধা দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে ক্রীড়া মহল তেতে রয়েছে এই ঘটনায়। নীরজ চোপড়ার মতো অনেকেই মুখ খুলেছেন। তলে তলে ক্রীড়া জগতেও বিজেপি বিরোধিতা প্রবল হচ্ছে। এমনকি অভিনয় জগত থেকেও অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। ধিকৃত হচ্ছে বিজেপির স্বৈরাচৈরী আচরণ।

Latest article