রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পক্ষপাতদুষ্ট মার্কিন রিপোর্টকে নস্যাৎ করল দিল্লি, ভারতের গুপ্তচর সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ

মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করল ভারত। এই রিপোর্টকে চূড়ান্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক

Must read

প্রতিবেদন: মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করল ভারত। এই রিপোর্টকে চূড়ান্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংকে (র) নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। একইসঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দেগেছে মোদি সরকারকে। মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের অবনতি ঘটছে। বিদেশের মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ জড়িত। এজন্য তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। এর পাশাপাশি ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলেছে, কমিউনিস্ট শাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তাদের মতে, এজন্য ভিয়েতনামকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের উদ্যোগে খুলছে বন্ধ বাগান, সমাধান হচ্ছে শ্রমিক সমস্যার, ছন্দে ফিরল মহুয়া চা-বাগান

বুধবার মার্কিন রিপোর্টের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এটি পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়নের অংশ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউএসসিআইআরএফ বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ভারতের প্রাণবন্ত বহুধাবিভক্ত সংস্কৃতির ধারাকে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সত্যিকারের উদ্বেগের পরিবর্তে মার্কিন কমিশনের রিপোর্ট একটি ইচ্ছাকৃত অ্যাজেন্ডাকে প্রতিফলিত করছে।
২০২৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে ভারতের কথিত হামলা মার্কিন-ভারত সম্পর্কে বড় জটিলতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওয়াশিংটন একজন প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। অন্যদিকে, ভারত শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে এই অপকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এর পাশাপাশি গত বছর এপ্রিলে মুসলিমরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন মোদি। বলা হয়েছিল এরা বেশি সন্তান জন্ম দেয়। মার্কিন বিদেশ দফতরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই অভিযোগ খণ্ডন করে বিদেশ মন্ত্রক এই পর্যবেক্ষণ গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলে পাল্টা সমালোচনা করেছে।

Latest article