দিল্লির লক্ষ্মীবাই কলেজ : অধ্যক্ষের অফিসেই লেপে দেওয়া হল গোবর

তাঁর যুক্তি ছিল, এরফলে প্রচণ্ড গরমেও ঠাণ্ডা থাকবে ঘর। অধ্যক্ষের এই আজবকাণ্ডে হাসির রোল ওঠে কলেজের পড়ুয়া ও শিক্ষক মহলে। ঝড় ওঠে প্রতিবাদেরও।

Must read

প্রতিবেদন : দিল্লির লক্ষ্মীবাই কলেজে ক্লাসরুমের দেওয়ালে অধ্যক্ষের গোবর লেপে দেওয়ার পালটা প্রতিক্রিয়া। এবার অধ্যক্ষের অফিসের দেওয়ালেই গোবর লেপে দিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি রোনক খত্রি। নিজের নেওয়া আজব সিদ্ধান্তের স্বাদ তিনি এবার বুঝিয়ে দিলেন অধ্যক্ষকে। কয়েকদিন আগে কলেজের ক্লাসরুমের দেওয়ালে সকলকে অবাক করে দিয়ে গোবর লেপে দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁর যুক্তি ছিল, এরফলে প্রচণ্ড গরমেও ঠাণ্ডা থাকবে ঘর। অধ্যক্ষের এই আজবকাণ্ডে হাসির রোল ওঠে কলেজের পড়ুয়া ও শিক্ষক মহলে। ঝড় ওঠে প্রতিবাদেরও। প্রশ্ন ওঠে, অধ্যক্ষের এই আজব কাণ্ডের নেপথ্যে কি গেরুয়াকরণের অপচেষ্টা? কিন্তু বেপরোয়া অধ্যক্ষ তাতে কান না দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তাঁর নিজের সিদ্ধানের পক্ষে সওয়াল করেন।

আরও পড়ুন-ট্রাফিক গার্ড থানার নতুন ভবনের সূচনায় পুলিশকর্তা

তাঁর কথায়, এটি নাকি একটি পরিবেশবান্ধব গবেষণার অঙ্গ। এবার অধ্যক্ষকে পাল্টা শিক্ষা দিলেন ছাত্র সংসদের সভাপতি। গোবর লেপে দিলেন অধ্যক্ষকের অফিসের দেওয়ালে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এই নিয়ে। মঙ্গলবারের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোনক খত্রি ও একদল শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অফিসে ঢুকে এক অধ্যাপকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং বলেন, এই ধরনের পরীক্ষামূলক উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের কোনও সম্মতি নেওয়া হয়নি। গবেষণা করতে হলে নিজের বাড়িতে করুন। ঘটনার পরে খত্রি সমাজমাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার) লেখেন, আমরা অধ্যক্ষকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম, অফিসের দেওয়ালেও গোবর লেপে দিয়েছি। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস, এবার ম্যাডাম অফিস থেকে এসি সরিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেবেন এবং গোবর লেপা প্রাকৃতিক পরিবেশেই কলেজ চালাবেন। অধ্যক্ষ প্রত্যুষা বাতসলা ১৩ এপ্রিল বলেছিলেন, এটি একটি চলমান গবেষণা, যার লক্ষ্য দেশীয় ও টেকসই শীতলীকরণ পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চালানো। তিনি দাবি করেন, তাঁর কর্মকাণ্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বলেন, প্রাকৃতিক মাটিতে হাত দেওয়ায় কোনও ক্ষতি নেই। তিনি আরও জানান, গবেষণার বিস্তারিত প্রতিবেদন এক সপ্তাহ পরে প্রকাশ করা হবে। এখনও পর্যন্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কেনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শ্রেণিকক্ষে গোবর প্রয়োগ একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অংশ, যা পরিবেশবান্ধব তাপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অনুসন্ধানে সহায়ক হতে পারে। উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ বাতসলা শিক্ষকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিওটি শেয়ার করে জানান যে, সি ব্লকের কিছু শ্রেণিকক্ষে গোবর লেপন করা হচ্ছে। তিনি লেখেন, যাঁদের ক্লাস এখানে হয়, তাঁরা শিগগিরই নতুন পরিবেশে পাঠদানের সুযোগ পাবেন।

Latest article