নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া হিসেবের থেকেও আটগুণ বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা( হু)র রিপোর্ট উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদপত্র “দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস”সেখানেই এই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নিউইয়র্ক টাইমসের এই দাবির, প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এর গণনা পদ্ধতির গাফিলতির কারণেই এই রিপোর্ট এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই, কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা ভুয়ো রিপোর্টকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রের ডিউটি করা বাধ্যতামূলক, চায় মোদির সরকার
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে’ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সরকারি হিসেবে যা পাঁচ লক্ষ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা, পরিসংখ্যানের থেকে যা প্রায় ৮ গুণ বেশি। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই, বিরোধীদের তোপের নিশানায় মোদি সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এদিন টুইট করে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি লিখেছেন, ” বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী যে ভারত সরকার সেটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে।”
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেখা হয়, ” ভারতের আপত্তির কারণেই কয়েক মাস ধরে বিলম্বিত হয়েছে এই রিপোর্ট। ভারতে কতজন নাগরিক মারা গিয়েছে সেই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এই রিপোর্ট এবং তাই এটিকে প্রকাশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’ আর এর পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন যে ‘ভারতের মৌলিক আপত্তি এই ফলাফল নিয়ে নয় বরং এই পরিসংখ্যান পেতে যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে সমস্যা ছিল ভারতের।” কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদি সরকারকে। রাহুল বলেছেন, মোদিজি সত্য বলেন না, অন্যকেও বলতে দেন না। আমি আগেও বলেছিলাম কোভিডের সময় সরকারের অবহেলার কারণে পাঁচ লক্ষ নয়, ৪০ লক্ষ ভারতীয় মারা গিয়েছেন,”
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫০, যা শনিবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর মধ্যে দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।