সংবাদদাতা, শীতলকুচি : বিজেপির নেতাদের উসকানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্বিচারে গুলি। আর তাতেই প্রাণ হারাণ পাঁচ নিরীহ ভোটার। কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিহতদের পরিবারের পাশে ছিলেন। এবং আছেন। ঠিক একবছর আগে ১০ এপ্রিল ঘটে এই ঘটনা। এই দিনটিকেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হল। রবিবার শহিদদের স্মৃতিসৌধে ফুল-মালা দিয়ে চোখের জলে পালন করা হল দিনটি। জোড়পাটকী গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ৫/১২৬ নম্বর বুথ প্রাঙ্গণে শহিদদের স্মরণে স্মরণসভার আয়োজন করে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি। এদিন প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্র নাথ বর্মন, কালো পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন। স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শহিদদের স্মৃতিতে শহিদ বেদি নির্মাণ করে আজ শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শহিদদের পরিবারের সদস্যদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানাই।” ছিলেন শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি আলিজার রহমান। স্মরণসভায় শহিদ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে মনিরুজ্জামান, হামিদুল মিয়া, ছামিউল হক, নুর আলম মিয়ার মৃত্যু হয়। প্রথমবার ভোট দিতে এসে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মনের।