প্রতিবেদন : কাল, সোমবার দুপুর ১২.৩০টা। ফের শিয়ালদহ সিটি সিভিল কোর্টের এজলাসে বসবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সাজা ঘোষণা করবেন আরজি কর মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের। ফাঁসি না যাবজ্জীবন? এই প্রশ্নই এখন গোটা বাংলা জুড়ে। কিন্তু সর্বত্র দাবি, জঘন্য অপরাধে অপরাধী সঞ্জয়ের ফাঁসি চাই।৯ অগাস্ট ঘটনা ঘটেছিল। তারপর কেটেছে প্রায় ১৬৩ দিন। কিন্তু ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয়কে শুধু গ্রেফতার করেছিল তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীই প্রথম রাস্তায় নেমে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। বিচারের গতিপ্রকৃতি এখন সেই দিকেই চলেছে।
আরও পড়ুন-বিশ্বে প্রথম কার্বন ক্রেডিট কার্ড বাংলায়
এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, এই বিচার মানি না। আরও অনেকে রয়েছে এই ঘটনায়, যাদের বাঁচানো হচ্ছে। পালটা জবাব দিয়ে তৃণমূল বলেছে, শিয়ালদহ কোর্টে মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় প্রত্যেকের প্রতিনিধি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন, সওয়ালও করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট সেসব যুক্তিকে শুধু মান্যতা দেয়নি তা নয়, শিয়ালদহ কোর্টের বিচার কাজে কোনও বাধাও দেয়নি। প্রশ্ন করতে গেলে সুপ্রিম কোর্টকেই করতে হবে। এক শ্রেণির মানুষ জেনে বুঝে এই মিথ্যাচারের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন অস্তিত্বরক্ষার স্বার্থে।শনিবার বিচারপতি রায় জানাতে গিয়ে বলেন, বিএনএসের ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ করার সময় শারীরিক আঘাতে মৃত্যু), ১০ (১) খুন, এই তিন ধারায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি এবং সর্বনিম্ন সাজা আজীবন কারাবাস। কিন্তু ফাঁসির দাবিতে মানুষ সোচ্চার।প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, শনিবার আদালত থেকে জেলে ফিরে চুপচাপ হয়ে যায় সঞ্জয়, খেতে দিলেও সামান্য ছুঁয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে। বারবার জিজ্ঞাসা করেছে ফাঁসি ঘোষণা হলে পরের আইনি পদক্ষেপ কী হতে পারে। আগামী কাল শিয়ালদহ আদালতে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা। সকলের নজরও থাকবে সেই দিকে।