সোমবার দুপুরেই দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election commission) অফিসে যান ডেরেক ও’ব্রায়েন, শান্তনু সেন, অর্পিতা ঘোষ, দোলা সেন, সুদীপ রাহা-সহ তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ মোট ১০ জনের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করছেন। অভিষেকের সঙ্গে এদিন রাজভবনে যান মালা রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রাত ন’টায় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সময়ের ১০ মিনিট আগেই রাজভবনে যান তারা। প্রায় ৫০ মিনিট পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-চক্রান্তের অভিযোগ উষার
দিল্লিতে ‘বর্বরতার’ জন্য নির্বাচন কমিশনকে এদিন দোষ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মহিলা সাংসদদের যেভাবে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে আমি মনে করি দিনের আলোয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। দোলা সেনের পায়ে দু সপ্তাহ আগে অপারেশন হয়েছে। তিন বারের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাঁরা বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ”ডিরেক্টরকে চ্যালেঞ্জ করব। বিবৃতি দিয়ে ভাঁওতা দেবেন না। আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। আমি আপনাকে অ্যাকিউজ করছি। আমার মোবাইলে ছবি আছে। দেখাতে পারি। সঠিক সময়ে প্রকাশ করব। টাওয়াল লোকেশন ম্যাচ করলেই তো বোঝা যাবে। ২০২১-এর থেকেও খারাপ পরিণতি হবে বিজেপির। আমরা ফুটেজ প্রকাশ করব। হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে ফুটেজ জমা দেব। আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারলে কর। ৫২ মিনিটের হাই কোয়ালিটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হাতে প্যাকেট নিয়ে ঢুকেছে আর খালি হাতে বেরিয়েছে। আমাদের হাতে তথ্য রয়েছে। কেন এনআইএ-র ডিরেক্টর বদল হবে না? কেন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেবে না? এসপি এনআইএ-র বাড়ির ভিজিটার্স বুকের কপি সহ সব তথ্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
আরও পড়ুন-ধোনির মতো কেউ হবে না, দাবি গম্ভীরের
এদিন অভিষেক সিসিটিভি ফুটেজের কথা তুলে বলেন, “এসপি এনআইএ’র বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ ছিল। জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক হয়েছে এসপি এনআইএ-র। আপনি তো অফিসে দেখা করবেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন, বাড়িতে কেন? আমরা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এসপি’র ঘরে জিতেন্দ্রকে একজন নিয়ে যাচ্ছেন। বেরনোর সময় নীচ পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, আমাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।”