ডেঙ্গি : নোটিফায়েড ডিজিজ, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য সমন্বয়ের উপর জোর রাজ্য সরকারের

করোনা যুদ্ধের মতো এবার ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমন্বয়ের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য।

Must read

প্রতিবেদন : করোনা যুদ্ধের মতো এবার ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমন্বয়ের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম শনিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি রাজ্য সরকারের এই মনোভাবের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। মশাবাহিত রোগের প্রকোপ রুখতে বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে খরচ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে রোগীদের চিকিৎসার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে চিকিৎসা খরচেও লাগাম টানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-সে প্রথম প্রেম আমার…

অন্যদিকে চলতি মরশুমে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলাশাসকদের বেশকিছু বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১. শহর ও জেলার মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জেলা হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২. জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া টেস্ট করতে হবে। দ্রুত সেই রোগীর নমুনা নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে। রোগীকে বারবার ওপিডিতে পাঠানো যাবে না।
৩. বেসরকারি চিকিৎসকদের ডেঙ্গি রোগের চিকিৎসা ও সঠিক দেখভাল করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর।
৪. ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে জেলায় জেলায় নিযুক্ত নোডাল অফিসারদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
৫. কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরিতে ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেলে তা খুব দ্রুত স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভাকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন-জলরং

অপারেশন ডেঙ্গি

*ডেঙ্গিকে নোটিফায়েড ডিজিজ হিসেবে ঘোষণা

*ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলেই স্বাস্থ্য দফতরকে তা জানাতে হবে

*রাজ্য সরকারের চালু করা নতুন পোর্টাল ও স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান দাখিল করতে হবে

*ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার উপসর্গ দেখা গেলেই এলাইজা, এনএস১ পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে

*পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবে খরচ সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে

*পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য মাত্রাতিরিক্ত অর্থ দাবি করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল-নার্সিংহোমেরবিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি

Latest article