সংবাদদাতা, মালদহ : চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। চোখ বন্ধ করামাত্র যেন ভেসে উঠছে দেওঘরের সেই আতঙ্কের দুঃস্বপ্ন। ঘুম কেড়েছে রোপওয়ের দুর্ঘটনা। ১০ ও ১১ এপ্রিলের কথা বেঁচে থাকতে কোনও দিনও ভুলবেন না গৃহবধূ পুতুল শর্মা। বললেন, ‘ঈশ্বরের কৃপায় বাড়ি ফিরে এসেছি। বেঁচে থাকতে আর কখনও রোপওয়েতে উঠব না।’ মানিকপুরের বাঁকিপুর এলাকার পুতুল শর্মা স্বামী চাঁদমোহন শর্মার সঙ্গে দেওঘর ভ্রমণে রওনা দিয়েছিলেন শনিবার।
আরও পড়ুন-শ্রমমন্ত্রীর কটাক্ষ, নাটক করছেন বিজেপি নেতারা
রবিবার দুপুর নাগাদ হাজির হন দেওঘর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী এিকূট পাহাড়ের রোপওয়ের কাছে। স্বামী রোপওয়ে চাপতে ভয় পান। তাই একাই অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে রোপওয়েতে চাপেন টিকিট কেটে। কিন্তু ওপার থেকে রোপওয়েতে ফিরে আসার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। রোপওয়ের তার ছিঁড়ে দুটি কেবিনে সংঘর্ষ ঘটে। মৃত্যু হয় তিনজনের। দুর্ঘটনার জেরে ২৪ ঘণ্টা রোপওয়ের কেবিনে আটকে থাকেন পুতুল। নিজের বাড়িতে বসে সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনাচ্ছিলেন তিনি। বলেন, রবিবার দুপুর নাগাদ ত্রিকূট পাহাড়ে পৌঁছে টিকিট কেটে চড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচণ্ড শব্দ হয়। আমাদের কেবিনটি পালটি খেয়ে শূন্যে আটকে পড়ে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকি। প্রশাসন আমাদের শুকনো খাবার বা পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ভোরবেলা হেলিকপ্টার এসেও উদ্ধার করতে পারেনি। পরে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এসে উদ্ধার করে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। উদ্ধার করে দেওঘর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি।