প্রতিবেদন : একশো দিনের কাজ, আবাস, সড়ক যোজনার মতো রাজ্যের কৃষকদের প্রতিও অব্যাহত কেন্দ্রের বঞ্চনা। বছরের পর বছর রাজ্যের কৃষকদের জন্য সারের বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়ছেন রাজ্যের কৃষকেরা। শনিবার বিধানসভায় কৃষি দফতরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রের এই বঞ্চনার কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এল বিধানসভায়, দলের মধ্যেই বেজায় কোণঠাসা দলবদলু
প্রধানমন্ত্রী যেখানে কৃষকদের দ্বিগুণ আয় বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে তিনগুণ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, রাজ্যে এনকেপি সারের চাহিদা বেশি। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে সারের জোগান কমিয়ে দিচ্ছে। গত আর্থিক বছরে রাজ্যে সারের চাহিদা ছিল ৯ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া গেছে সাড়ে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন-অবৈজ্ঞানিক-অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত রেলকর্তাদের, ইন্টারলকিংয়ে লক্ড জনজীবন
কৃষিমন্ত্রী জানান চলতি আর্থিক বছরে সারের চাহিদা রয়েছে ৯ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। যেখানে কেন্দ্র এ পর্যন্ত দিয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন! সারের কালোবাজারি নিয়ে বিরোধী বিধায়কদের সমালোচনার উত্তরে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই ১২ হাজারের বেশি ব্যবসায়ীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৩৮৬ জনকে শোকজ করা হয়। ১১ জন ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ৬৫ জনের দোকান বন্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে।