‍‘সার’ নিয়ে তীব্র যুক্তিবাণ, মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিলেন ডেরেক

এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে নিজের সময় থেকেই ১০ সেকেন্ড তিনি চেয়েছিলেন, মাত্রাতিরিক্ত চাপে অকালমৃত্যু হয়েছে যে বিএলওদের, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

Must read

নয়াদিল্লি : এসআইআর বা নির্বাচনী সংস্কারের নেপথ্যে মোদি সরকারের আসল অভিসন্ধিটা ঠিক কী, তা জলের মতো পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখোশটা খুলে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, এসআইআরের নামে আসলে ধর্ম ও ভাষাভিত্তিক বিভাজনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিজেপিকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার ১ জনের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লে আন্দোলন হবে, দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন হবে৷ মনে করিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৮ শতাংশ মহিলা সাংসদকে পাঠিয়েছেন, বিজেপি তা করতে পারেনি। এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে নিজের সময় থেকেই ১০ সেকেন্ড তিনি চেয়েছিলেন, মাত্রাতিরিক্ত চাপে অকালমৃত্যু হয়েছে যে বিএলওদের, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

আরও পড়ুন-বিমায় ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বিলের তীব্র বিরোধিতা সংসদে তৃণমূলের

ডেরেকের উদ্বেগ, বাংলায় ধর্ম এবং ভাষার ভিত্তিতে ভোটারদের রাজনৈতিক মেরুকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে৷ বিভাজনের নীতি নেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্রের নীতি ডিভাইড, ডিসট্রাক্ট অ্যান্ড ডিফ্লেক্ট। এখানে বাংলায় কথা বললে গায়ে বাংলাদেশির তকমা লাগানো হচ্ছে৷ এই ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাকেও জোর করে অনৈতিকভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে আবার চাপে পড়ে তাঁকে দেশে ফেরাতে হচ্ছে৷ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে ডেরেকের সাফ কথা, ক্লাস এইটের একটি পড়ুয়াও জানে সীমান্ত সুরক্ষা এবং অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর৷ ভারতের মতো দেশে নির্বাচনী সংস্কার নিশ্চিত করতে রাষ্টীয় তহবিল থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ভোটের খরচ বহন করা হোক, দাবি জানান ডেরেক৷ মনে করিয়ে দেন, ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসই প্রথমে এই দাবি তুলেছিল নির্বাচনী ইস্তাহারে।
এরপরেই বিজেপি তথা মোদি সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণ বিধি থাকলেও তা মানা হচ্ছে না৷ এমনকী একজন নির্বাচন কমিশনার সরকারের আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এখানে সরকার কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করছে না৷ এখানে ইসি মানে হল এক্সট্রিমলি কমপ্রোমাইজড, এনটায়ারলি কমপ্রোমাইজড৷
এই প্রসঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলায় ২০১১, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১, ২০২৪ সালে বাংলায় হওয়া সবক’টা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি৷ আমরা জিতি না স্যার, বাংলার মানুষ জেতে৷

Latest article