বিমার জিএসটি (GST) প্রত্যাহার চাই এখনই না হলে সর্বাত্মক আন্দোলন তৃণমূলের সুদেষ্ণা ঘোষাল l নয়াদিল্লি বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে অবিলম্বে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে, তা না হলে শুরু হবে সর্বাত্মক আন্দোলন, সোমবার রাজ্যসভায় স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের ঘোষণা করতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে, সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ অন্যথায় শুরু হবে সর্বাত্মক আন্দোলন, সাফ জানিয়েছেন ডেরেক৷ দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রয়োজনে রাস্তায় নামার কথা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ তাঁরই সুরে সংসদীয় অধিবেশনে সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ এই মর্মে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলিকেও সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানান ডেরেক।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বরাদ্দে বঞ্চিত ৮৯ দুঃস্থ সংখ্যালঘু, মহিলা গৃহনির্মাণে পাচ্ছেন রাজ্যের টাকা
উল্লেখ্য, জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে, আগেই দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার এই দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই চিঠিতেই মমতার অভিযোগ, নতুন কর কাঠামোর অধীনস্থ আয়কর আইনের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারা অনুযায়ী জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়৷ এই ব্যবস্থা জনস্বার্থ বিরোধী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ তাঁকে গভীর যন্ত্রণা দিচ্ছে বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই সোমবার একই ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ সোমবার সংসদের উচ্চকক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডেরেকের দাবি, অবিলম্বে বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপরে প্রযোজ্য ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক৷ কেন এই জিএসটি প্রত্যাহার করা হবে? সাফ কথা হল, দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপরে মারাত্মক বোঝা তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত৷ আমাদের দেশে বিমা গ্রহীতাদের সংখ্যা খুবই কম৷ আমাদের দেশে এই সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ, গোটা বিশ্বে ৭ শতাংশ৷ আমাদের দলের দুই সাংসদ সাকেত গোখেল এবং দোলা সেন এই দাবি তুলেছিলেন৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দেশের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন৷ কিন্তু সরকার সেই দাবিতে কর্ণপাত করেনি৷ একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠি লিখেছেন দেশের অর্থমন্ত্রীকে৷ আমরা যখন দাবি তুলেছিলাম জিএসটি প্রত্যাহার করার জন্য, তখন অর্থমন্ত্রী দাবি জানান জিএসটি কাউন্সিল এই প্রত্যাহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷ এটা সত্য নয়৷ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জিএসটি কাউন্সিল আসলে একটি পরামর্শদাতা সংস্থা৷ এই প্রসঙ্গে ডেরেকের সংযোজন, আমরা সাফ জানাচ্ছি পর্দার আড়ালে থাকতে দেব না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে৷ আমরা ইন্ডিয়া জোটের সব দলকে এই ইস্যুতে সোচ্চার হতে বলব৷ একই ভাবে আমরা অনুরোধ করব বিজু জনতা দলকে, এই ইস্যুতে সোচ্চার হোন৷ আগামী তিন-চারদিনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সভায় এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা না জানালে আন্দোলন শুরু হবে৷