প্রতিবেদন: মোদি সরকারের প্রচারসর্বস্ব মানসিকতা নতুন নয়৷ জনহিতকর বহু প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি এই সরকারের কার্যকালে৷ বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের মত কার্যকরী প্রকল্পের বরাদ্দ বিজ্ঞাপন খাতে খরচা করে গোটা দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷ তারপরেও লজ্জা নেই এই সরকারের৷ এই আবহে শুক্রবার দিল্লিতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদি সরকারের ভূমিকা৷ তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে এদিন কার্যত নিরুত্তর থেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আমলারা৷ সূত্রের দাবি, এর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের তরফে৷ তাঁর তোপের মুখে পড়ে কার্যত নিরুত্তর থাকেন সরকারি আমলারা৷
আরও পড়ুন-৬ বছর মেলেনি বেতন, শিক্ষিকার আত্মহত্যা সিপিএম শাসিত কেরলে
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মহিলাদের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে গঠিত নির্ভয়া তহবিলের অর্থের দুই তৃতীয়াংশ কেন খরচ করেনি মোদি সরকার? প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারাগারের উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, এই খাতে মোট বরাদ্দের তিন চতুর্থাংশই খরচ হয়নি। করোনার মারাত্মক প্রভাব চলে গেলেও এই সরকার কেন সারা দেশে জনগণনা করছে না? কেন এবারের বাজেটে জনগণনা নিয়ে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি? জানতে চায় তৃণমূল৷ দেশের সীমান্ত পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ৮৩ শতাংশ৷ কোন খাতে কেন বাড়ানো হল এই বিপুল বরাদ্দ, এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়। আন্দামান এবং লাক্ষাদ্বীপের সামগ্রিক উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ ৮৮ কোটির মধ্যে মাত্র ১ লাখ খরচ করা হয়েছে কেন? কেন বাকি টাকা খরচ করা হচ্ছে না? এদিনের বৈঠকে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর কিন্তু দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আমলারা। দিল্লিতে এদিনের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের অন্যান্য সাংসদদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় দেশের রাজধানী দিল্লিতে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে৷ সবমিলিয়ে তৃণমূলের প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে দিশাহারা হয়ে যায় মোদির সরকার। দেওয়ার মতো কোনও উত্তর যে কেন্দ্রের কাছে ছিল না, এদিনের বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে যায় তা।