প্রতিবেদন : এসআইআর নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কীসের? কোন রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করছেন আপনারা? কোনও নিয়মনীতির বালাই নেই। যখন-তখন যা ইচ্ছে সার্কুলার জারি হচ্ছে। ৯০, ১০০ বছরের মানুষকে শুনানিকেন্দ্রে তলব করা হচ্ছে। ছাড় মিলছে না অসুস্থদেরও। মানবিকতার বালাই নেই। এসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শুনানির জন্য তাড়াহুড়ো না করে আরও সময় বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে আরও মানবিক হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এসআইআরের শুনানি নিয়ে ভোটারদের লাগাতার হেনস্থার প্রতিবাদে বুধবার কমিশনের সিইও দফতরে গিয়ে তাঁর কাছে এই আবেদন জানাল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ (desh bachao gana mancha)। সিইও-র সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে গণমঞ্চের (desh bachao gana mancha) তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, একজনের পা কাটা গিয়েছে, তাঁকেও ডাকা হচ্ছে। নব্বই-ঊর্ধ্বদের ডাকা হচ্ছে কেন? কেন এত তাড়াহুড়ো এসআইআর করতে? কিন্তু আমরা দেখলাম কোনও প্রশ্নেই সিইও আমলাতান্ত্রিক যে চেয়ার তার বাইরে যেতে পারলেন না। যখনই উনি যুক্তিতে পারছেন না, তখনই দিল্লি দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, বাংলায় এসআইআর আগেও হয়েছে। কিন্তু এভাবে জোর করে কাউকে দিয়ে কিছু করানো হচ্ছে, এমনটা দেখিনি। আমরা এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। পূর্ণেন্দু বসু আরও বলেন, আমরা আবেদন করেছি৷ সময়টা একটু বাড়িয়ে দিন, যাতে মানুষ ঠিকভাবে ভোট দিতে পারে। স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট করানোটা আপনাদের দায়িত্ব, আপনারা সেটাই করুন। কে নাগরিক, কে নয়, সেটা দেখা আপনাদের কাজ নয়। দিল্লির বিজেপি সরকার যেভাবে চলছে, কমিশনও সেভাবে চলছে। এছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সুমন ভট্টাচার্য, অনন্যা চক্রবর্তী, সৈকত মিত্র, নাজমুল হক, বর্ণালি মুখোপাধ্যায়েরা।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই প্রতিষ্ঠাদিবস, বাংলা জুড়ে নানা কর্মসূচি তৃণমূলের

